স্টাফ রিপোর্টার :
নগরীর বন্দরবাজার ফাঁড়িতে পুলিশি নির্যাতনে নিহত রায়হান উদ্দিন আহমদ হত্যা মামলায় গ্রেফতারকৃত কনস্টেবল হারুনুর রশিদকে দুই দফায় ৮ দিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। গতকাল রবিবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে দ্বিতীয় দফায় ৩ দিনের রিমান্ডের মেয়াদ শেষ হলে তাকে সিলেটের চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো: জিয়াদুর রহমানের আদালতে হাজির করে পিবিআই। এ সময় অভিযুক্ত ওই পুলিশ সদস্য আদালতে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দিতে রাজি হননি। পরে আদালত হারুনুর রশীদকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী কমিশনার (প্রসিকিউশন) অমূল্য কুমার চৌধুরী জানান, স্বীকারোক্তি না দেয়ায় আদালত হারুনুর রশীদকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
পিবিআই জানায়, গত ২৩ অক্টোবর শুক্রবার রাতে বরখাস্তকৃত কনস্টেবল হারুনুর রশিদকে পুলিশ লাইন্স থেকে গ্রেফতার করে পিবিআই। পরে ২৪ অক্টোবর শনিবার সিলেট মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তৃতীয় আদালতের বিচারক শারমিন খানম নীলা প্রথম দফায় ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এরপর ২৯ অক্টোবর বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় দফায় আরও ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন সিলেট অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো: জিয়াদুর রহমান।
বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, গত ১১ অক্টোবর ভোরে বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে পুলিশি নির্যাতনের শিকার হয়ে মারা যান রায়হান উদ্দিন আহমদ (৩৩)। নিহত রায়হান নগরীর আখালিয়ার নেহারিপাড়ার মৃত রফিকুল ইসলামের পুত্র। তিনি নগরীর রিকাবিবাজার স্টেডিয়াম মার্কেটে এক চিকিৎসকের চেম্বারে কাজ করতেন। এ ঘটনায় তার স্ত্রী তাহমিনা আক্তার তান্নি কোতোয়ালি মডেল থানায় অজ্ঞাতনামা আসামী করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। যার নং-২০ (১২-১০-২০২০)। পরে স্ত্রীর দায়ের করা মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় পিবিআই। এরপর পুলিশের পক্ষ থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হলে রায়হানকে ফাঁড়িতে এনে নির্যাতনের প্রাথমিক প্রমাণ পায় কমিটি। এই তদন্ত কমিটির সুপারিশে বন্দরবাজার ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আকবর হোসেন ভূঁইয়া, কনস্টেবল হারুনুর রশিদ, তৌহিদ মিয়া ও টিটু চন্দ্র দাসকে সাময়িক বরখাস্ত এবং এএসআই আশেক এলাহী, এএসআই কুতুব আলী ও কনস্টেবল সজিব হোসেনকে প্রত্যাহার করা হয়। মামলার প্রধান অভিযুক্ত এসআই আকবর পলাতক রয়েছেন। এ পর্যন্ত এএসআই আশেক-ই-এলাহী ও কনস্টেবল হারুনুর রশিদ ও টিটু চন্দ্র দাসকে গ্রেফতার করে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে পিবিআই।