কাজিরবাজার ডেস্ক :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের নিজ নিজ এলাকার দুস্থ-অসহায় মানুষের সহায়তায় সকল শ্রেণী-পেশার বিত্তশালীদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, দেশের উন্নয়নে সবাই সম্মিলিতভাবে কাজ করলে দারিদ্র্য থাকবে না। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টাই দেশ থেকে চিরতরে দারিদ্র্য দূর করতে পারে। শুধু নিজেরা ভাল থাকব, নিজে সুন্দর থাকব, নিজে আরাম আয়েশে থাকব- আর আমার দেশের ও এলাকার মানুষ কষ্টে থাকবে- এটা তো মানবতা না। এটা তো হয় না।
শনিবার গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত ‘মুজিববর্ষে গৃহহীন মানুষকে সরকারের সচিবগণের গৃহ উপহার’ কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি অংশ নিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, যারা আমাদের বিত্তশালী, তারা যদি এভাবে তার নিজ নিজ এলাকায় কিছু দুস্থ পরিবারের দিকে ফিরে তাকায়, ঘর নাই তাদের ঘর করে দিল, তাদের কিছু কাজের ব্যবস্থা করে দিল, তাদের সহযোগিতা করল। শুধু নিজেরা ভালো থাকব, আর আমার দেশের মানুষ কষ্টে থাকবে- এটাতো হয় না। কাজেই সকলে মিলে চেষ্টা করলে দেশে আর কোন দারিদ্র্য থাকবে না। গণভবন প্রান্তে অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস। বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত মূল অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন, মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। এছাড়া গৃহ পাওয়া তিন উপকারভোগী বীর মুক্তিযোদ্ধা ইসহাক খান, হাকিম মোল্লা এবং নিগুম চাকমা নিজেদের অনুভূতির কথা ব্যক্ত করেন। এই কার্যক্রমের অংশ হিসেবে অনুষ্ঠানে সরকারের ৮০ জন জ্যেষ্ঠ সচিব ও সচিব নিজ নিজ এলাকায় নিজস্ব অর্থায়নে ১৬০টি গৃহহীন, ভূমিহীন পরিবারের কাছে তাদের জন্য নির্মিত ঘরের চাবি হস্তান্তর করেন।
মুজিববর্ষে নিজস্ব অর্থায়নে গৃহহীনদের ঘর উপহার দেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট সচিবদের প্রতি ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মুজিববর্ষে বাংলাদেশের একটি মানুষও গৃহহীন থাকবে না, সরকারের সেই ঘোষণা বাস্তবায়নে এগিয়ে আসায় আপনাদের (সচিব) ধন্যবাদ জানাই। দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে আপনারা যে মানুষগুলোর পাশে দাঁড়িয়েছেন, তাদের একটা মাথা গোঁজার ঠাঁই করে দিয়েছেন, একটা ঘর করে দিয়েছেন- আপনারা এটা একটা মহৎ কাজ করেছেন। ভবিষ্যতেও এভাবে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশ বিশ্বে ক্ষুধামুক্ত দারিদ্র্যমুক্ত সমৃদ্ধশালী সোনার বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে উঠবে, জাতির পিতার স্বপ্ন পূরণ করব।
সবার প্রতি অনুরোধ জানিয়ে সরকারপ্রধান আরও বলেন, ‘চাকরিজীবী, ব্যবসায়ী বা যে যেখানেই আছেন প্রত্যেকের কাছে আমার অনুরোধ থাকবে- আপনারা যে স্কুলে পড়াশোনা করেছেন, সেই স্কুলগুলোর উন্নয়নের জন্য একটু কাজ করেন। আপনি যে গ্রামে জন্মগ্রহণ করেছেন, সেই গ্রামে যে কয়টা মানুষকে পারেন সহযোগিতা করুন। সবাই মিলে সম্মিলিত কাজ করলে পরে এ দেশের দারিদ্র্য থাকবে না।’
কারণ হিসেবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের মানুষ অনেক সাহসী। জাতির পিতা তো এই মানুষগুলোকে নিয়েই যুদ্ধ করে বিজয় অর্জন করেছেন। পাকিস্তানী সেনাবাহিনী সারাবিশ্বে শক্তিধর সেনাবাহিনী ছিল, তারা খুব গর্ব করত যে, তাদের আবার কে হারাবে? কিন্তু বাঙালিরা তো হারিয়ে দিয়েছে তাদের। যুদ্ধে আমরা বিজয় অর্জন করেছি। কাজেই আমরা বিজয়ী জাতি। বিজয়ী জাতি হিসেবেই আমরা বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে চলব।
প্রধানমন্ত্রী এ সময় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একটি বক্তব্যে উদ্বৃত করে বলেন, ‘জাতির পিতা সরকারী অফিসারদের এই কথাই বলেছিলেন যে, আপনারা আজকে যা কিছু পান, তারা মূলে কারা? এই গ্রামের মানুষগুলোই তো। মাথার ঘাম পায়ে ফেলেই তো এরা অর্থ উপার্জন করে। তাদের জন্য আপনারা কিছু করেন। আর জাতির পিতার জীবনের মূল লক্ষ্যই ছিল দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানো। আজকে এই একটা ঘর পাবার পর সেই দুঃখী মানুষের মুখে যখন হাসি ফোটে, তখন তার যে আনন্দ আসে- আমার মনে হয় এটাই সব থেকে বড় পাওয়া।’
জীবনে কী পেলাম বা না পেলাম সেই চিন্তা আমি কখনও করি না উল্লেখ করে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পদাঙ্ক অনুসরণ করে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে কাজ করে যাচ্ছি। আমি যদি একটু কিছু করে যেতে পারি মানুষের জন্য, এটাই আমার জীবনের স্বার্থকতা। কী পেলাম, না পেলাম, সেই চিন্তা কখনও আমি করি না।
বঙ্গবন্ধুর সংগ্রামমুখর জীবন তুলে ধরার পাশাপাশি ১৯৭৫ সালে তাঁকে হত্যার পর নিজের নির্বাচিত জীবনের কথা তুলে ধরে তাঁর মেয়ে শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতাকে হত্যা করার পর অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে জিয়াউর রহমান খুনীদের বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরি দিয়ে পুরস্কৃত করেছিল, রাষ্ট্রদূত করেছিল। আর যারা যুদ্ধাপরাধী, পাকিস্তানী বাহিনীর সঙ্গে নিয়ে মানুষের ঘরবাড়ি পুড়িয়েছে, গণহত্যা চালিয়েছে, মা-বোনদের তুলে নিয়ে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর হাতে তুলে দিয়েছে, লুটপাট করেছে- তাদেরকেই মন্ত্রী বানিয়েছে, তাদেরকেই ক্ষমতায় বসিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০২০ সাল জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের জন্মশতবার্ষিকী এবং এই মুজিববর্ষে (২০২০ সালের ১৭ মার্চ থেকে ২০২১ সালের ২৬ মার্চ) আমাদের ঘোষণা বাংলাদেশে আর একটি মানুষও গৃহহীন থাকবে না, ভূমিহীন থাকবে না। তার সরকারের এই কর্মসূচী বাস্তবায়নে সরকারের পক্ষ থেকে উদ্যোগ নেয়া হলেও আজকে নিজ নিজ এলাকার দরিদ্র অসহায় মানুষকে ঘর তৈরি করে দেয়ার মাধ্যমে সচিবরাও সরকারী এই উদ্যোগে শরিক হয়েছেন এবং প্রত্যেকে নিজ নিজ এলাকায় দুটি করে ঘর করে দিয়েছেন। কাজেই আজকে এই ঘর দেয়ার পর দুঃখী মানুষের মনে যে আনন্দটা আসবে, আমি মনে করি এটাই সব থেকে বড় পাওয়া।
তিনি বলেন, জাতির পিতার আজন্ম সংগ্রামের মূল লক্ষ্যই ছিল এ দেশের দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানো। বঙ্গবন্ধু ব্যক্তি জীবনে অনেক কিছু করতে পারতেন। তারপরেও দুঃখী মানুষের কথা ভেবেই তিনি সে পথ বেছে নেননি। মানুষের দুঃখ-দুর্দশা তিনি (জাতির পিতা) ছোটবেলা থেকেই নিজ চোখে দেখেছেন। যে কারণে তাঁর সবসময় একটা উদ্যোগই ছিল -মানুষের জন্য কিছু করার।
তিনি বলেন, বাংলার নিপীড়িত, বঞ্চিত জনগণের সীমাহীন দুঃখ-দুর্দশা ও দারিদ্র্যের কষাঘাত দেখে জাতির পিতার প্রাণ কেঁদে উঠত। যে কারণে তিনি প্রতিজ্ঞাই নিয়েছিলেন এ দেশের মানুষের জন্য কিছু একটা করে যাবেন। আর সেটা করতে গেলে এ দেশ স্বাধীন করতে এবং এ দেশের মানুষকে সুন্দর একটা জীবন তাঁকে দিতে হতো। তিনি বলেন, জাতির পিতা নিজের জীবনকে উৎসর্গ করে জেল, জুলুম, অত্যাচার-নির্যাতন সহ্য করে সত্য ও ন্যায়ের পথে অবিচল থেকে সংগ্রাম করে গেছেন। তিনিই আমাদের স্বাধীনতা এনে দিয়ে আত্মপরিচয়ের সুযোগ করে দিয়ে গেছেন।
জাতির পিতার নীতি ও মহান আদর্শের উদাহারণ টেনে শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা আদর্শের সঙ্গে কখনও আপোস করেননি বা পিছপা হননি। সবসময় ন্যায্য কথা বলেছেন, ন্যায্যভাবে চলেছেন এবং এ দেশের মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। বাংলাদেশকে স্বাধীন করার পর জনগণকে উন্নত-সুন্দর জীবন দেওয়াই বঙ্গবন্ধুর অন্যতম লক্ষ্য এবং স্বপ্ন ছিল উল্লেখ করে তাঁর একটি ভাষণের উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি বলেন, ‘জাতির পিতা বলেছিলেন, আমার দেশের প্রতিটি মানুষ খাদ্য পাবে, আশ্রয় পাবে, শিক্ষা পাবে, উন্নত জীবনের অধিকারী হবে-এটাই হচ্ছে আমার স্বপ্ন।’
এ প্রসঙ্গে বঙ্গবন্ধুকন্যা পিতা হিসেবে সবসময় দেশের কাজে ব্যস্ত থাকায় তাকে কাছে না পাওয়া এবং দেশ স্বাধীনের পর ব্রিটিশ সাংবাদিক ডেভিড ফ্রস্টকে দেয়া জাতির পিতার বিখ্যাত সাক্ষাতকারের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, ‘জাতির পিতা বাংলার মানুষকেই সব থেকে বেশি ভালবাসতেন (আই লাভ মাই পিপল)। এ দেশের মানুষ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবেরই ভালোবাসা পেয়েছেন।’
যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশকে পুনর্গঠনকালেই গৃহহীনকে ঘর-বাড়ি করে দেয়া এবং ভূমিহীনকে খাসজমি প্রদানে জাতির পিতার ‘গুচ্ছগ্রাম’ প্রকল্পের উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা নিজে নোয়াখালী যান (এখন লক্ষ্মীপুর, তখন সেটা মহকূমা ছিল) এবং সেখানেই গুচ্ছগ্রাম প্রকল্পের ভিত্তি রচনা করেন। তাঁর কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রব সেরনিয়াবাতের ওপরই এই দায়িত্ব ছিল এবং তিনি সেখানে ঘর তৈরি করে দিয়ে আসেন।’
বর্তমান সরকারের উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত দেশব্যাপী কমিউনিটি ক্লিনিক গড়ে তোলাও ‘জাতির পিতার চিন্তার ফসল’, উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রতিটি ইউনিয়নে তিনি (বঙ্গবন্ধু) ১০ শয্যার হাসপাতাল করে দেয়ার উদ্যোগ নেন। তাঁর চিন্তা ছিল চিকিৎসা সেবাকে মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেবেন। তিনি বলেন, সে সময়ই প্রাথমিক শিক্ষা এবং মেয়েদের শিক্ষাকে অবৈতনিক করেন এবং সমবায়ের মাধ্যমে কৃষিকে যান্ত্রিকীকরণ করে উৎপাদন বৃদ্ধির উদ্যোগও বঙ্গবন্ধু নিয়েছিলেন। পাশাপাশি ক্ষমতাকে বিকেন্দ্রীকরণ করে তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত পৌঁছে দেয়ার জন্য প্রত্যেকটি মহুকুমাকে জেলায় রূপান্তর করে জেলা গভর্ণর নিযুক্ত করে দেন।
অনুষ্ঠানে ’৭৫ এ জাতির পিতাকে নির্মমভাবে হত্যার পর সাবেক সেনাশাসক জিয়াউর রহমানের অবৈধ ক্ষমতা দখল এবং দেশে সেনাশাসনের সূচনার প্রসঙ্গ টেনে শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতার হত্যাকান্ডের পর আবারও দেশের দুঃখী মানুষ দুঃখীই থেকে গেছেন। তাদের প্রতি কেউ ফিরেও তাকায়নি। কেননা পরবর্তী সরকারগুলো ক্ষমতাকে ভোগের বস্তু এবং নিজেদের আখের গোছাবার জন্য ব্যবহার করেছে। বারবার অবৈধভাবে যারা সরকারে এসেছে তারা দেশের একটি সুবিধাবাদী শ্রেণী হাত মিলিয়ে নিজেদের ভাগ্যোন্নয়ন করলেও দেশের আপামর জনগণের ভাগ্যের কোন পরিবর্তন হয়নি।
জাতির পিতার ‘গুচ্ছগ্রাম’ প্রকল্পের অনুকরণে তাঁর সরকারের ‘আশ্রয়ন’ এবং ‘ঘরে ফেরা’ এবং ‘আমার বাড়ি আমার খামার’ কর্মসূচী বাস্তবায়নের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ঢাকার বস্তিবাসী যদি নিজ গ্রামে ফিরে যায় তাহলে তাদের সরকারের টাকায় ঘর করে দেয়া, খাবারের ব্যবস্থা এবং টাকা পয়সা দেয়ার ব্যবস্থা নেয়া হয়। কারণ প্রত্যেকে যেন নিজে কিছু করে সুন্দরভাবে বাঁচতে পারেন, কারও কাছে যেন হাত পাততে না হয়।’
শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা বলেছিলেন যে দেশের মাটি এত উর্বর, একটা বীজ ফেললে যেখানে গাছ হয়। সেই গাছের ফল হয়, সেই দেশের মানুষ কেন না খেয়ে কষ্ট পাবে? কথাটা অত্যন্ত বাস্তব। একটু চেষ্টা করলেই কিন্তু সবাই নিজেরা ভাল থাকতে পারেন। আর যারা একটু বিত্তশালী তারা একটু পাশে দাঁড়ালে আমি মনে করি আরও সুন্দর জীবন পেতে পারেন।
বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, আমার একটাই লক্ষ্য, মানুষকে একটু সুন্দর জীবন দিতে। বাবা-মা, ভাই সব হারিয়ে সেই শোক ব্যথা বুকে নিয়ে কাজ করি, এই একটা লক্ষ্য সামনে নিয়ে। কারণ এ দেশের মানুষের জন্যই তো আমার মা জীবন দিয়ে গেছেন, বাবা জীবন দিয়েছেন, ভাইয়েরা জীবন দিয়েছেন। আমার বাবা সারাটা জীবন কষ্ট স্বীকার করেছেন। কাজেই আমি যদি একটু কিছু করে যেতে পারি মানুষের জন্য, এটাই আমার জীবনের সার্থকতা। আমার চিন্তা একটাই- তা হচ্ছে কতটুকু আমি মানুষের জন্য করতে পারলাম। দেশের মানুষের জন্য করতে পারলাম, আপনাদের জন্য করতে পারলাম।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যদিও করোনাভাইরাসের কারণে অনেক কাজ থমকে গেছে কিন্তু আমরা বসে নেই। এই করোনাভাইরাসের মধ্যেও গ্রাম পর্যায় পর্যন্ত আর্থিক সাহায্য পৌঁছে দিচ্ছি। তিনি তার সরকারকে ভোট প্রদানে জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ আমাদের নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করেছে। তারপর থেকে জনগণের সেবা করে আমরা অন্তত এটুকু বলতে পারি বাংলাদেশ আজ বিশে^ মাথা উঁচু করে চলতে পারে- সে সম্মানটা আমরা অর্জন করেছি। বাঙালী জাতি বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে চলছে।