ওসমানীনগর থেকে সংবাদদাতা :
সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের ওসমানীনগরের কুরুয়া বাজারে একটি বেপরোয়া গতির কাভার্ড ভ্যানের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু ঘটেছে। ওই কাভার্ড ভ্যানকে থামাতে সিগনাল দিয়েছিলো হাইওয়ে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। ভ্যানচাপায় ঘটনাস্থলে মারা যাওয়া মাটরসাইকেল আরোহী এমাদ আলী (২৫) ওসমানীনগর উপজেলার দয়ামীর ইউনিয়নের সুয়ারগাঁও গ্রামের সুরাব আলীর পুত্র।
ঘটনার পর উত্তেজিত জনতা দ্বায়িত্বরত হাইওয়ে পুলিশদের ধাওয়া এবং প্রায় দেড় ঘন্টা সিলেট-ঢাকা মহাসড়ক অবরোধ করে রাখেন। পরে প্রশাসনের অনুরোধে অবরোধ তুলে নেন স্থানীয়রা।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে তামাবিল হাইওয়ে থানার একদল পুলিশ উপজেলার কুরুয়া বাজারের পাশে মহাসড়কে দ্বায়িত্ব পালন করছিলেন। এসময় সিলেটগামী দ্রুতগতির একটি কাভার্ড ভ্যান থামাতে চেষ্টা করেলে সেটি বেপরোয়া গতিতে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে এবং ওই ভ্যানকে একটি মোটরসাইকেলকে চাপা দেয়। এসময় মোটরসাইকেল চালক এমাদ আলী ঘটনাস্থলেই মারা যান। এসময় উত্তেজিত জনতা হাইওয়ে পুলিশদের ধাওয়া করলে তারা দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। পরে মহাসড়ক অবরোধ করা হয়। এতে উভয়দিকে কয়েক কিলোমিটার সড়কে যানবাহন আটকা পড়ে। খবর পেয়ে ওসমানীনগর থানা ও তামাবিল হাইওয়ে থানার পুলিশ এসে স্থানীদের অনুরোধ করলে তারা অবরোধ তুলে নেন। পরে চলাচল স্বভাবিক হয়।
এ বিষয়ে তামাবিল হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল কবির বলেন, দুর্ঘটনার পর স্থানীয়রা মহাসড়কে দ্বায়িত্বরত পুলিশদের অবরোধ করার চেষ্টা করলে এক পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। এই বিষয়ে এসল্ট মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। পরবর্তীতে আরো পুলিশ পাঠিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক করা হয়েছে।
দুর্ঘটনার বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ওসমানীনগর সার্কেল) রফিকুল ইসলাম বলেন, কাভার্ড ভ্যানের চাপায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হওয়ার পর স্থানীয় বিক্ষুব্ধ জনতা দ্বায়িত্বরত হাইওয়ে পুলিশ সদস্যদের ধাওয়া করে এবং মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে কাভার্ড ভ্যান আটক করে থানায় নিয়ে আসার পাশাপাশি মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক করে।