মহান মুক্তিযোদ্ধের পূর্বমুহূর্তে দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক ছিল না। একের পর এক শোষণ নিপীড়নের প্রতিবাদ করতে দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাচ্ছিল যখন, তখনই মানুষের কণ্ঠরোধ করে দিতে চেয়েছিল পাকিস্তানি হানাদার শক্তি। বাঙালির চিন্তাশক্তি ও স্বাধীনচেতা মনোভাব ধূলিসাৎ করতে চাইছিলো। বাঙালিকে ধাবিয়ে দিতে কৌশল রচনা করছিলো একে একে। সেই ইস্পাত কঠিন সময়ে মানুষের অধিকার ও মুক্তির লক্ষ্যে সাংস্কৃতিক বিপ্লব ও আন্দোলন গড়ে তুলতে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলো উদীচী। ১৯৬৮ সালের ২৯ অক্টোবর সেই ঐতিহাসিক ক্ষণে শিল্পী সংগ্রামী সত্যেন সেন গড়ে তুলেছিলেন স্বপ্নের ও সাম্যের এক অন্যরকম সারথি। দীর্ঘ সময় ধরে সাধারণ মানুষের অধিকার আদায়ে, বঞ্চিত-নিপীড়িত মানুষের অধিকারে সোচ্চার থেকে লড়াই সংগ্রাম আন্দোলনের অগ্রভাগে ছিলো। গেরিলা বাহিনী গঠন করে প্রত্যক্ষভাবে মহান মুক্তিযুদ্ধে যেমন উদীচীর শিল্পীরা নেমেছিলেন, তেমনি মানুষের মানসিক প্রেরণা ও যুদ্ধের শক্তি-সাহস যোগাতে কাজ করেছে উদীচী। তারই প্রেক্ষিতে সম্মানজনক ‘একুশে পদক’ অর্জন করেছে উদীচী। কাঙ্খিত স্বপ্ন ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ বিনির্মাণে ৫২ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতেও আগামী সুদৃঢ় কাজ করা অঙ্গীকার করতে চায়।
সারা দেশের ন্যায় সিলেট জেলা সংসদ বৃহস্পতিবার (২৯ অক্টোবর, ২০২০) বিকেল সাড়ে ৩টায় নগরীর ক্বীন ব্রিজের পাদদেশে সুরমাপারে ৫২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠান আয়োজন করেছে। আবৃত্তি, নৃত্য, গণসংগীত ও শুভেচ্ছা বক্তব্যের সমন্বিত প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজনে উপস্থিত ও সক্রিয় অংশগ্রহণ করার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন উদীচী সিলেট জেলা সংসদের সভাপতি এনায়েত হাসান মানিক ও সাধারণ সম্পাদক ইয়াকুব আলী। বিজ্ঞপ্তি