করোনাকালে দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ে শিক্ষক নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এর মধ্যে প্রাথমিকে ৩২ হাজার শিক্ষক নিয়োগ দেবে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর। যার আবেদনপত্র গ্রহণ শুরু হয়েছে ২৫ অক্টোবর থেকে। শেষ হবে ২৪ নভেম্বর। অন্যদিকে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতর রাজস্ব খাতে শূন্যপদের বিপরীতে শিক্ষক নিয়োগ দেবে ৪ হাজার ৩২ জন। যার আবেদনপত্র গ্রহণ করা হবে এক নভেম্বর থেকে। করোনার কারণে অর্থনীতির পাশাপাশি বিশেষ করে শিক্ষার যে সমূহ ক্ষতি হয়েছে তা অপূরণীয়। কবে নাগাদ এই ক্ষতি কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হবে তাও অনিশ্চিত। ইতোমধ্যে উচ্চ মাধ্যমিকসহ স্কুলগুলোতে নিয়মিত পাঠদান ও বার্ষিক পরীক্ষা নেয়া সম্ভব না হওয়ায় ঘোষণা করা হয়েছে অটো প্রমোশন। অবশ্য এর বিকল্প মূল্যায়নের একটা ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে। তবে তা নিয়ে শিক্ষাবিদদের মধ্যে সমালোচনাও রয়েছে বিস্তর। যা হোক শিক্ষার এই সমূহ ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার জন্য আগামীতে কি করণীয় এবং করোনা যদি অভ্যাহত থাকে, তাহলেই বা কি হবে শিক্ষার ভবিষ্যত- তা নিয়ে ভাবতে হবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়সহ অভিজ্ঞজনদের। আপাতত নতুন শিক্ষক নিয়োগের বিষয়টি যে ইতিবাচক তা বলতেই হবে। তবে এর জন্য সর্বত্র স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করা আবশ্যক, যাতে নিয়োগের ক্ষেত্রে দুর্নীতি অনিয়মের অনুপ্রবেশ না ঘটে। যোগ্য ও মেধাবীরা যাতে স্থান পায় সর্বত্র।