স্টাফ রিপোর্টার :
পাঁচদিনব্যাপী শুরু হওয়া হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রধান বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজার আজ শনিবার তৃতীয় দিন মহাঅষ্টমী। কল্পারম্ব ও সন্ধিপূজোয় শেষ হবে সার্বজনীন উৎসবের মহাঅষ্টমী। করোনা ভাইরাসের কারণে মহাঅষ্টমীর মূল আকর্ষণ কুমারী পূজা এবার হচ্ছে না। লোক সমাগম এড়াতে আগে ভাগেই এই আনুষ্ঠানিকতা বাতিল করা হয়েছে। প্রতি বছর দেবীরূপে একজন কন্যা শিশুকে অষ্টমীতে পূজা করা হতো। মন্দিরে মহা ধুমধামে কুমারী পূজায় নামতো ভক্তদের ঢল। যা ছিল উৎসবের অন্যতম আকর্ষণ।
গতকাল শুক্রবার পূজোর ছিল দ্বিতীয় দিন মহাসপ্তমী। জগতে আসুরিক শক্তির পরাভব ও সত্য সুন্দর চির কল্যাণে সবার অন্তরে শান্তি ও কল্যাণ বয়ে নিয়ে আসুক। এই প্রত্যাশায় সিলেটে ভোরে সূর্য উঠার আগে থেকে বৈরী আবহাওয়ায় নানান আয়োজনের মধ্য মন্ডপে মন্ডপে দুর্গাপূজার মহাসপ্তমী বিহিত পূজা অনুষ্ঠিত হয়। মাথায় বৃষ্টি নিয়ে গতকাল সকালে ভক্তবৃন্দরা মন্ডপগুলোতে অঞ্জলি নিয়েছেন। অঞ্জলি শেষে করা হয় প্রসাদ বিতরণ। তবে এবার মন্ডপে মন্ডপে পূজারী ও দর্শনার্থীদের ভিড় ছিল অনেকটা কম। পূজোর শুরুর দিন মহাষষ্ঠী পূজোতেও ঝিরঝিরে বৃষ্টি আর ঝড় হাওয়া দিয়েই এবার দেবীর বোধন হয়েছে। গতকালও সপ্তমীর সকালে ছিল একই অবস্থা।
সিলেটে সাড়ে ৫ শতাধিক পূজা মন্ডপে প্রশাসনের পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যে দিয়ে পূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এরমধ্যে সিলেট জেলায় পারিবারিক ও সার্বজনীন মিলিয়ে ৫২০ টি এবং সিলেট মহানগরে ৬৪ টি মন্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। গত বছর সিলেট জেলা ও মহানগর মিলিয়ে ৬০৮ টি মন্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এ হিসেবে এবার পূজা মন্ডপের সংখ্যা কমেছে ২৪ টি। করোনার কারণে এবারে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সংক্ষিপ্ত করে পূজা করতে হচ্ছে আয়োজকদের। ২৬ অক্টোবর দশমী তিথিতে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে এবারের এ দুর্গাপূজা।
এদিকে গতকাল সপ্তমী তিথিতে দুপুরে মন্দিরগুলোতে কোভিড পরিস্থিতি থেকে মুক্তি এবং সবার আরোগ্য কামনা করে বিশেষ প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হয়েছে।