দেশের সাধারণ মানুষ এক ধরনের ব্যবসায়ী নামে প্রতারকদের হাতে জিম্মি হয়ে পড়েছে। এদের কূট-কৌশল, আর অর্থ-লোভী ব্যবসায়ীরা ব্যবসার নামে ক্রেতাদেরকে ঠকানোর প্যাঁচে চরম দুর্ভোগে জীবন যাপন করতে হচ্ছে। এদের হাত থেকে সাধারণ ক্রেতারা বেরিয়ে আসতে চায়। অসাধু ব্যবসায়ী চক্রের হাত থেকে কবে রেহাই পাবে তাহাই ভোক্তাভোগী ক্রেতাদের প্রশ্ন?
দেশের এ ক্রান্তি লগ্নে পেঁয়াজ, আলু, দেশীয় শাক-সবজির দাম বাড়িয়ে দিয়ে সাধারন ক্রেতাদের পকেট কেটে অর্থ নেয়ার ফঁন্দি-ফিকিরকারী এক ধরনের অসাধু ব্যবসায়ী চক্রের বিরুদ্ধে কোন প্রকার পদক্ষেপই কাজে আসছে না। গ্রামাঞ্চলের নিম্ন আয়ের মানুষের মধ্যে ভোগান্তির শেষ নেই। অনেকের মতে সরকার বিদেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানী করার পর ও কি পেঁয়াজের দাম কমবে না। এরই মধ্যে আলুর দাম বৃদ্ধি করে সাধারণ ক্রেতাদেরকে হয়রানী করা হচ্ছে। সরকার আলুর মূল্যে ত্রিশ টাকা নির্ধারণ করে দেয়ার পরও মজুদদাররা এবং আড়তদাররা কিংবা সাধারণ মুদির- দোকানদার এমনকি হকাররা অতিরিক্র দামে অহরহ বিক্রি করে যাচ্ছে। কেউ কোন ধরনের বাধা দিচ্ছে না। পেঁয়াজ, আলু বাড়তি বিক্রেতাদেকে মাঝে-মধ্যে জরিমানা করা হলেও স্থায়ী ভাবে মনিটরিং এর ব্যবস্থা না থাকায় অসাধু ব্যবসায়ীরা যার যেমন ইচ্ছে, তেমনি ক্রেতাদেরকে পুতুলের মতো নাচাচ্ছে। সরকার নিত্য-প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যে ঠিক করে দিলেও ব্যবসায়ীরা কোন পাত্তা দিচ্ছে না।
দেশে করোনা মতো মহামারির কারণে কর্মহীন মানুষ, এছাড়াও বিদেশ ফেরত লাখ-লাখ প্রবাসী দেশে বেকার অবস্থান করছে, প্রাকৃতিক বন্যায় বার-বার ক্ষতিগ্রস্ত দেশবাসীর হাত অর্থ শূন্য অবস্থায় ধার-কর্য করে জীবিকা নির্বাহ করতে হচ্ছে, এরই মধ্যে নিত্য-পণ্যের দাম বৃদ্ধি দেশবাসীর জন্য কোন শুভ লক্ষণ মনে হয় না। যেভাবে হউক ব্যবসায়ীদের হাত থেকে রক্ষায় কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার বিকল্প নেই।
দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠিকে ব্যবসায়ী নামক দুর্বৃত্তদের হাত থেকে রক্ষায় কঠোর ভাবে ব্যবসায়ী নীতি বলবৎ করতে সরকারী সংস্থাগুলো মাঠ পর্যায় কাজ করার ব্যবস্থা করতে হবে। যা বাস্তবে প্রান্তিক জন গোষ্ঠির চলমান জীবনে কাজে লাগে। ইহাই জন-প্রত্যাশা।