স্টাফ রিপোর্টার :
বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মীসহ লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি) থেকে পদত্যাগ করেছেন দলের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য এবং কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য এডভোকেট মো. এম আর খালেদ তুষার। শনিবার দুপুরে সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এ ঘোষণা দেন তিনি।
লিখিত বক্তব্যে খালেদ তুষার ব্যর্থতার দায় স্বীকার করে পদত্যাগ প্রসঙ্গেবলেন, আমি এবং অর্পিত দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাকর্মীরা মিলে এলডিপিকে সিলেট এবং সুনামগঞ্জ জেলায় সাংগঠনিক কর্মকান্ডে সফলতা আনতে পারিনি। সুতরাং আমি মনে করি আমার পদত্যাগ করা উচিৎ, তাই আমরা যৌথভাবে সিদ্ধান্ত নেই যে, আমরা এলডিপির সুনাম, খ্যাতি ইত্যাদি নষ্ট না করে বরং নিজ নিজ অবস্থান থেকে পদত্যাগ করাই দলের জন্য মঙ্গল। এ সময় তিনি এলডিপির সুনামগঞ্জ জেলা কমিটির ৭৬ জন, সিলেট জেলার ৪৫ জন ও ঢাকা জেলার কিছু সংখ্যক কর্মীর পদত্যাগের কথা জানান।
এলডিপির প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে দলে নিজের ভূমিকার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ২০০০ সালে আমিই প্রথম বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী নিয়ে সুনামগঞ্জ জেলায় এলডিপির আত্মপ্রকাশ ঘটাই। ২০০৬ সালের ৭ নভেম্বর ৫ শতাধিক সমর্থক নিয়ে সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে একটি সফল শোভাযাত্রা করি। তাছাড়াও ২০০৭ সালের সংসদ নির্বাচনে মহাজোটের পক্ষ থেকে সুনামগঞ্জ-৩ আসনে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলাম, কিন্তু ১/১১ এর থাবায় নির্বাচন হয়নি। পরে ২০ দলীয় জোটের পক্ষ থেকে সুনামগঞ্জ-৩ আসনে আবারও ২০১৮ এর জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন দাখিল করি। কিন্তু ২০ দলীয় জোটের পক্ষ থেকে মনোনীত না হলে পরে এলডিপি থেকে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করি।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি তার গঠিত সেচ্ছাসেবী সংগঠন নাগরিকদায়িত্ব এর কার্যক্রমের ঘোষণা করেন। সংগঠনটি সম্পর্কে খালেদ তুষার বলেন, গত ১৫ আগষ্ট বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার উচ্চশিক্ষিত পেশাদার মানুষদের নিয়ে ‘নাগরিকদায়িত্ব’ নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের যাত্রা করি। সংগঠনটির উদ্দেশ হচ্ছে দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে সামাজিক সচেতনতা বাড়িয়ে তোলা। এছাড়াও অনৈতিক কর্মকান্ড, অন্যায়, ধর্ষণ, নির্যাতনসহ বিভিন্ন কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে ব্যাপক গণ সচেতনতা তৈরি করা। আজ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে আমরা নাগরিকদায়িত্বের কর্মকান্ড এই সিলেট জেলা থেকে উদ্বোধন করলাম। এসময় তিনি প্রধানমন্ত্রীসহ সবাইকে নাগরিকদায়িত্বের সদস্য হওয়ার আহ্বান জানান।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সহ-সভাপতি সামসুল আলম, শেখ এমদাদ, মো. মিজানুর রহমান ও নুরুল গনি সিদ্দিকী মিলন, সাধারণ সম্পাদক ডা. এস এম আকমাল আলী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এস এম খোকন চৌধুরী, কোষাধ্যক্ষ লায়ন ইঞ্জিনিয়ার মো. শাহ আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মুক্তার হোসেন, যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক জামান চৌধুরী, আইন বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট তৈয়ব আনোয়ার প্রবাল, সহ-আইন বিষয়ক সম্পাদক মো. শফিকুল ইসলাম, দপ্তর সম্পাদক খন্দকার হেলাল উজ্জামান, সহ দপ্তর সম্পাদক মো. ইসলাম উদ্দিন তালুকদার, প্রচার সম্পাদক এডভোকেট মো. ফরহাদ হোসেন, সহ প্রচার সম্পাদক মো. আব্দুল আউয়াল প্রমুখ।