সিলেট মহানগর পুলিশের বন্দরবাজার ফাঁড়িতে রায়হান উদ্দিন (৩৪) নামের এক যুবককে মধ্যযুগীয় কায়দায় পুলিশের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ করেছেন তার পরিবার। এ ঘটনায় থানায় মামলাও হয়েছে।
ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে পুলিশের ৪ জনকে সাময়িক বরখাস্ত ও ৩ জনকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। মামলার প্রধান আসামী এসআই আকবর পালিয়ে যাওয়ায় সঠিক বিচার পাওয়া নিয়ে নিহতের পরিবার ও সাধারণ মানুষের মাঝে সন্দেহ দেখা দিয়েছে। এ ঘটনার সাথে জড়িত এসআই আকবরকে দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছে সুজন-সুশাসনের জন্য নাগরিক সুনামগঞ্জ জেলা কমিটি।
বৃহস্পতিবার সুনামগঞ্জ জেলা সুজনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে তারা বলেন, রায়হান উদ্দিনকে অন্যায়ভাবে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে হত্যা করা হয়েছে। যা এখন পরিষ্কার। এই বর্বর নির্যাতন ১৯৭১ সালের পাক হানাদারদের নির্যাতনকেও হারা মানিয়েছে। এই ঘটনায় পুলিশের গঠিত তদন্ত কমিটি প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় যাদেরকে বরখাস্ত ও প্রত্যাহার করা হয়েছে তাদেরকে অনতিলম্বে গ্রেফতার করতে হবে। ন্যায় বিচারের জন্য মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছে।
এই ঘটনায় পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও কোন ভাবে দায় এড়িয়ে যেতে পারেন না। পুলিশের কতিপয় লোকের কারণেই এই বাহিনী আজ ক্ষতিগ্রস্ত। সেই সাথে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে গৃহবধূ ধর্ষণের ঘটনা ও পুলিশ হেফাজতে যুবকের মৃত্যুর ঘটনায় পুলিশের উপর আর সাধারণ মানুষের আস্থা নেই।
এমসি কলেজের ন্যাক্কারজনক ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি হয়েছে। আর পুলিশের হেফাজতে রায়হান উদ্দিন নামের এক যুবকের মৃত্যু ঘটনাটিও এখন বিচার বিভাগীয় তদন্ত করার সময়। তা না হলে আলোচিত এই ঘটনাটির ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কা আছে। পুলিশ হেফাজতে রায়হান উদ্দিন মৃত্যুর ঘটনাটির বিচার না হয় তাহলে এই অপরাধ মানবতাবিরোধী অপরাধ হিসেবে গণ্য করবে সুজন। বিজ্ঞপ্তি