বিশ্বনাথ থেকে সংবাদদাতা :
বিশ্বনাথে নিখোঁজের একদিন পর ডোবা থেকে উদ্ধার করা হলো রবিউল ইসলাম (১২) নামের মাদ্রাসায় পড়ুয়া এক শিশুর লাশ। সে উপজেলার নওধার-রহমাননগর গ্রামের আকবর আলীর ছোট ছেলে ও পাশর্^বর্তি গোয়াহরী দাখিল মাদাসার ৩য় শ্রেণীর ছাত্র। মঙ্গলবার (১৩ অক্টোবর) সকালে রামপাশা-বৈরাগী বাজার সড়কের বাল্লার ব্রীজের পাশর্^বর্তি ডোবা থেকে ওই শিশুটির লাশ উদ্ধার করে থানা পুলিশ। এরপর বিকেলে ময়না তদন্তের জন্য শিশুটির লাশ সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়। লাশের গায়ে বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন থাকায় পুলিশ প্রথমিকভাবে ধারণা করছে শিশুটিকে কেউ হত্যা করেছে।
জানা গেছে, গত সোমবার (১১ অক্টোবর) সকাল ১০টারদিকে বাড়ি থেকে বের হয় রবিউল। কিন্তু বের হওয়ার পর সে আর বাড়ি ফিরেনি। ওইদিন সন্ধ্যা পর্যন্ত অপেক্ষার পর তার বাবাসহ পরিবারের লোকজন উপজেলাজুড়ে মাইকিং করান। পাশাপাশি সম্ভাব্য সকল জায়গা ও আত্মীয় স্বজনদের বাড়িতে খোঁজাখুঁজি করেন। কিন্তু এরপরও কোথাও তার খোঁজ না পাওয়ায় অবশেষে ওইদিন রাতে রবিউলের বাবা আকবর আলী বিশ্বনাথ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেন, (জিডি নং ৫৪৩)।
নিহতের বাবা আকবর আলীর অভিযোগ, তার ছেলেকে হত্যা করে লাশ ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছে। ন্যায় বিচার পেতে তিনি পুলিশ প্রশাসনসহ সকলের সহযোগিতা কামনা করেছেন।
বিশ^নাথ থানার ওসি শামীম মুসা বলেন, ময়না তদন্দের রিপোর্ট ছাড়া মৃত্যুর কারণ বলা যাচ্ছে না। তবে, প্রাথমিকভাবে হত্যাই মনে হচ্ছে। ঘটনার রহস্য উদঘাটনে পুলিশ তৎপরতা অব্যাহত আছে বলেও জানান তিনি।