স্পোর্টস ডেস্ক :
রাহুল তেওয়াটিয়া ও রিয়ান পরাগের দাপটে প্রায় হাতের বাইরে চলে যাওয়া ম্যাচ জিতে নিল রাজস্থান রয়্যালস। আইপিএলে রবিবার দিনের প্রথম ম্যাচে ২০ ওভারে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ করেছিল চার উইকেটে ১৫৮ রান। পরে রাজস্থান ১ বল বাকি থাকতে ৫ উইকেট হাতে রেখে জয় তুলে নেয়।
রান তাড়া করতে নেমে একসময়ে পরপর উইকেট হারিয়ে প্রবল চাপে পড়ে গিয়েছিল রাজস্থান শিবির। কিন্তু তেওয়াটিয়া ও রিয়ান পরাগের ঘুরে দাঁড়ানো ইনিংসে ম্যাচ জিতে নেয় স্টিভ স্মিথের দল। শারজার মাঠে ঝড় তুলে রাজস্থানকে জিতিয়েছিলেন তেওয়াটিয়া। তারপর সেভাবে তাঁর ব্যাট জ্বলে ওঠেনি।
এদিন দুবাইয়ে তেওয়াটিয়া খেলেছেন ২৮ বলে অপরাজিত ৪৫ রানের দুর্দান্ত ইনিংস। চারটি চার ও দুটি ছক্কা মারেন তিনি। ২৬ বলে অপরাজিত ৪২ রান করে নজর কেড়েছেন রিয়ান পরাগ। বেন স্টোকস, স্টিভ স্মিথের মতো আন্তর্জাতিক মানের ক্রিকেটাররা যখন দলকে বিপন্ন করে ডাগ আউটে ফিরে গেলে এই দুজন দলের জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন।
রবিবার টস জিতে দুবাইয়ের মাঠে প্রথমে ব্যাটিং নেন ডেভিড ওয়ার্নার। জোফ্রা আর্চার, শ্রেয়াস গোপালরা শুরুতে আঘাত হানতে পারেননি হায়দরাবাদের ইনিংসে। ওপেনার জনি বেয়ারস্টোকে ১৬ রানে ফেরান কার্তিক ত্যাগী। অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে নজর কেড়েছিলেন তিনি। এদিন তাঁর প্রথম ওভারের তৃতীয় বলেই ছক্কা হাঁকান বেয়ারস্টো। পরের বলটাই শর্ট দিয়েছিলেন ত্যাগী। বেয়ারস্টো পুল মারেন। ডিপ স্কোয়ারে শরীর ছুড়ে দিয়ে সঞ্জু স্যামসন তালুবন্দি করেন বেয়ারস্টোর ক্যাচ।
এ বারের আইপিএলে ওয়ার্নারকে তাঁর পরিচিত মারমুখী মেজাজে ব্যাট করতে দেখা যাচ্ছে না। বেয়ারস্টো যখন ফিরে গিয়েছিলেন তখন হায়দরাবাদের রান ছিল ২৩। তারপরে ওয়ার্নার ও মনিশ পাণ্ডে ৭৩ রানের পার্টনারশিপ গড়ে হায়দরাবাদের ইনিংস গোছানোর চেষ্টা করেন। ওয়ার্নারকে (৪৮) বোল্ড করেন জোফ্রা আর্চার। ওয়ার্নার ফেরার পরে দলকে এগিয়ে নিয়ে যান মনিশ পাণ্ডে। ৪৪ বলে ৫৪ রান করে তিনি আউট হন উনাদকাতের বলে। শেষের দিকে কেন উইলিয়ামসনের ১২ বলে ২২ এবং প্রিয়ম গর্গের ৮ বলে ১৫ রানে হায়দরাবাদ লড়াই করার মতো স্কোর করে।