স্পোর্টস ডেস্ক :
ব্ল্যাক-ক্যাপস জার্সি গায়ে আর খেলতে দেখা যাবে না অলরাউন্ডার কোরি অ্যান্ডারসনকে। নিউজিল্যান্ড দলের হয়ে না খেললেও ক্রিকেট মাঠে দেখা যাবে ওয়ানডে ক্রিকেটে দ্বিতীয় দ্রুততম শতরানকারী ক্রিকেটারকে। নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট থেকে অবসর গ্রহণ করে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমাচ্ছেন অ্যান্ডারসন। তিন বছরের জন্য সেদেশের মেজর টি-২০ লিগের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন এই অলরাউন্ডার।
২০১৮ সালে নিউজিল্যান্ডের জার্সি গায়ে শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচটি খেলেছেন অ্যান্ডারসন। নিউজিল্যান্ডের জার্সি গায়ে ছয় বছরের ক্যারিয়ারে ১৩টি টেস্ট, ৪৯টি ওয়ানডে এবং ৩১টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন ২৯ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার।
২০১৪ সালে ওয়ানডেতে শহীদ আফ্রিদির দ্রুততম শতরানের রেকর্ড ভেঙেছিলেন অ্যান্ডারসন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৩৬ বলে সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিলেন তিনি। যদিও পরবর্তীতে এবি ডি ভিলিয়ার্স অ্যান্ডারসনকে ছাপিয়ে ৩১ বলে শতরান করে নয়া নজির গড়েন।
এক সাক্ষাৎকারে কোরি অ্যান্ডারসন বলেছেন, ‘নিউজিল্যান্ডের জার্সি গায়ে আন্তর্জাতিক স্তরে প্রতিনিধিত্ব করা আমার কাছে অত্যন্ত সম্মান এবং গর্বের মুহূর্ত।’
তিনি আরো বলেন, ‘ব্ল্যাক-ক্যাপস জার্সিতে আরো কিছু ম্যাচ খেলার খুব ইচ্ছা ছিল। কিন্তু মাঝে মাঝে এরকম একেকটা সুযোগ আসে জীবনে এবং তোমায় অন্যদিকে নিয়ে যায়। এমন ঘটনা হয়তো তোমার কল্পনাতেও আসেনি। নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট আমার জন্য যা করেছে সেজন্য আমি কৃতজ্ঞ।’
একইসঙ্গে অ্যান্ডারসন জানিয়েছেন, তাঁর জন্য এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করাটা খুব একটা সহজ ছিল না। তিনি নিজের মনকে একাধিক প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেছেন এই সিদ্ধান্ত গ্রহণের আগে।
কোরি অ্যান্ডারসনের বাগদত্তা স্ত্রী যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক। তাকে এই সিদ্ধান্ত নিতে তার স্ত্রী বেশি উৎসাহ দিয়েছেন। অ্যান্ডারসন বলেছেন, ‘মানুষের যত বয়স বাড়ে মানুষ তত দূরদৃষ্টি সম্পন্ন হয়। নিঃসন্দেহে আমার বাগদত্তা মেরি মার্গারেট আমায় সেদেশে খেলার ব্যাপারে বড় ভূমিকা নিয়েছে। আমার জন্য জীবনে ও অনেক কিছু ত্যাগ করেছে। আমার জন্য নিজের দেশ ছেড়ে ও নিউজিল্যান্ডে এসেছে। নতুন সংস্কৃতির সঙ্গে নিজেকে একাত্ম করেছে এবং ক্যারিয়ারে আমার কঠিন সময়গুলোতে সবসময় আমার পাশে থেকেছে। তাই যখন সুযোগোটা এল আমরা ভাবলাম যুক্তরাষ্ট্রে থাকাটা সবচেয়ে বুদ্ধিমানের কাজ হবে। শুধু আমার ক্রিকেটের জন্য নয় বরং আমাদের দুজনের জন্যই।’