স্পোর্টস ডেস্ক :
ইউরোপিয়ান গ্রীষ্মকালীন ট্রান্সফার উইন্ডোতে আন্তর্জাতিক খেলোয়াড়দের দলবদল বাবদ এবার ফুটবল ক্লাবগুলো গত বছরের তুলনায় প্রায় ১.৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার কম ব্যয় করেছে বলে নিশ্চিত করেছে বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রণ সংস্থা ফিফা।
করোনাভাইরাসের কারণে এবারের ট্রান্সফারের সময়সীমা পাঁচ সপ্তাহ বাড়িয়ে অক্টোবরে শেষ হয়েছে। বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়া করোনা মহামারীর কারণে সম্প্রচার স্বত্ত্ব ও টিকেট বিক্রি থেকেও সব মিলিয়ে বিলিয়ন ডলার ক্ষতি হয়েছে বলে ফিফা জানিয়েছে।
ফিফার ট্রান্সফার মনিটরিং সিস্টেমের রেকর্ড অনুযায়ী বিভিন্ন দেশে খেলোয়াড়দের ট্রান্সফার বাবদ ৩.৯২ বিলিয়ন ডলার খরচ হয়েছে। ২০১৯ সালের গ্রীষ্মকালীন ট্রান্সফারের তুলনায় এই বিক্রির পরিমাণ ৫.৮ বিলিয়ন ডলার কম। ২০১০ সালের পর থেকে বিদেশি খেলোয়াড়দের ট্রান্সফার ফি সংক্রান্ত বিস্তারিত সব কিছুই ফিফাকে জানানোটা ক্লাবগুলোর জন্য বাধ্য করা হয়েছিল। এর মাধ্যমে ক্লাবগুলোও ট্রান্সফার মার্কেটে নিজেদের স্বচ্ছতা বজায় রাখার সুযোগ পেয়েছে।
পুরুষ ফুটবলের পাশাপাশি ২০১৮ সাল থেকে নারী ফুটবলেও ট্রান্সফার মনিটরিং বাধ্যতামূলক করা হয়। নারীদের ফুটবলে ট্রান্সফার মূল্য প্রতি বছরই প্রায় দ্বিগুণ হারে বাড়ছে।
গত সোমবার বন্ধ হয়ে গেছে ২০২০-২০২১ মৌসুমের গ্রীষ্মালীন ট্রান্সফার উইন্ডো। এবারের ট্রান্সফার মার্কেটে ইউরোপিয়ান ক্লাবগুলো ৩.৭৮ বিলিয়ন ডলার ব্যয় করেছে। এর মধ্যে ইংলিশ ক্লাবগুলোর ব্যয় সর্বোচ্চ। সব মিলিয়ে তারা ব্যয় করেছে ১.২৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এরপরেই রয়েছে ইতালিয়ান ক্লাবগুলোর অবস্থান, এ সংক্রান্ত তাদের ব্যয় হয়েছে প্রায় ৫৪৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
ইউরোপের পরেই দক্ষিণ আমেরিকান ক্লাবগুলো ট্রান্সফার মার্কেটে একটা বড় ভূমিকা পালন করে থাকে। ফিফার রিপোর্ট অনুযায়ী দক্ষিণ আমেরিকান ক্লাবগুলো আন্তর্জাতিক ট্রান্সফার বাবদ প্রায় ২৯৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করেছে এবং ২৫ মিলিয়ন ডলার ব্যয় করেছে।
এশিয়ান কনফেডারেশনের ক্লাবগুলো ৮৭ মিলিয়ন ডলার ব্যয় করে আয় করেছে ৬২ মিলিয়ন ডলার।