হবিগঞ্জের মাধবপুরের এক নারীকে (৩০) কাজ দেয়ার নামে ঢাকা নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এমনকি ওই নারী ঢাকা থেকে বাড়ি চলে আসতে চাইলে করা হয় শারীরিক নির্যাতন।
অবশেষে কৌশলে সেখান থেকে পালিয়ে আসেন ওই নারী। গুরুত্বর অসুস্থ অবস্থায় শুক্রবার (৯ অক্টোবর) সকালে তাকে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ধর্ষণের শিকার নারী মাধবপুর উপজেলার শ্রীধল গ্রামের জনৈক ব্যক্তির স্ত্রী। তিনি চার সন্তানের জননী।
ধর্ষণের শিকার নারী জানান, একই উপজেলার কৃষ্ণপুর গ্রামের শামীম রেজা নিজের ঢাকার মিরপুর কচুক্ষেতে তার বাসায় কাজ দেয়ার (বুয়া) কথা বলে মাসখানেক আগে ওই নারীকে নিয়ে যান। সেখানে নেয়ার পর ওই নারীর প্রতি কুনজর পড়ে শামীম রেজার। তার স্ত্রী চাকরির সুবাধে বাসায় না থাকার সুযোগে গত কয়েক দিন ধরে শামীম ওই নারীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। লজ্জায় ওই নারী বিষয়টি কাউকে বলেন নি। এরপরও আরও কয়েকবার তাকে ধর্ষণ করেন শামীম। এক পর্যায়ে শামীম রেজার নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়ে ওই নারী বাড়ি চলে আসতে চাইলে শামীম রেজা তাকে আটকিয়ে রাখে। উল্টো তার কাছ থেকে মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে মারপিট করেন শামীম রেজা।
বুধবার রাতে কৌশলে ওই নারী ঢাকা থেকে পালিয়ে মাধবপুর চলে আসেন। পরে তিনি বিষয়টি স্থানীয় মেম্বার, চেয়ারম্যান ও মাধবপুর থানার ওসিকে বিষয়টি জানালে তারা তাকে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরামর্শ দেন। শুক্রবার সকালে পরিবারের লোকজন তাকে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করেন।
এ ব্যাপারে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালের দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসক জিয়াউর রহমান বলেন, ‘ওই নারীর শরিরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ধর্ষণের বিষয়টি নিশ্চিতের জন্য শনিবার তার ডাক্তারি পরিক্ষা হবে।’
মাধবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকবাল হোসেন বলেন, ‘ঘটনাটি ঘটেছে ঢাকা মিরপুরের কচুক্ষেত এলাকায়। সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে আমি তাকে পরামর্শ দিয়েছি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে ঢাকার সংশ্লিষ্ট থানায় অভিযোগ দিতে।’ (খবর সংবাদদাতার)