অস্ত্র মামলায় ২ জনের যাবজ্জীবন

4

স্টাফ রিপোর্টার :
গোলাপগঞ্জে অস্ত্র মামলায় ২ জনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও অপর ২ জনকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত। গতকাল বুধবার দুপুরে সিলেটের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৩য় আদালতের বিচারক মো: ইব্রাহিম মিয়া এ রায় ঘোষণা করেন।
যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামীরা হচ্ছে, জকিগঞ্জের নোয়াগ্রামের মৃত আব্দুল মানিকের পুত্র মতিউর রহমান উরফে আতাউর রহমান সুজন উরফে সফর (২৩) ও একই থানার লামাগ্রামের ইসলাম উদ্দিনের পুত্র ফয়সল আহমদ (২১)। রায় ঘোষণার সময় সাজাপ্রাপ্ত আসামী ফয়সল আহমদ আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত থাকলেও অপর সাজাপ্রাপ্ত আসামী মতিউর রহমান উরফে আতাউর রহমান সুজন উরফে সফর আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলো না।
খালাসপ্রাপ্তরা হচ্ছে, গোলাপগঞ্জ থানার বসন্তপুর গ্রামের আব্দুল হক (৪৫) ও বালাগঞ্জ থানার সাদেকপুর গ্রামের মবশ্বিরর আলীর পুত্র হাজারী শিপন (৩০)।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, ২০১৬ সালের রাত আড়াই টার দিকে গোলাপগঞ্জ থানার রানাপিং বাজারস্থ ছত্রিশ কালিদাসপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে অবৈধ আগ্নেয়ান্ত্র ও বিভিন্ন প্রকার দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রসহ সমবেত হয়ে ডাকাতি সংঘটনের প্রস্তুতি নিচ্ছিল এক দল ডাকাত। গোপনে এমন খবর পেয়ে রাত সাড়ে ৪ টার দিকে গোলাপগঞ্জ থানা পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থানে পৌছামাত্র ডাকাতরা পালাতে থাকে। এ সময় পুলিশ ধাওয়া করে মতিউর রহমান উরফে আতাউর রহমান সুজন উরফে সফর ও ফয়সল আহমদকে গ্রেফতার করলেও অপর ডাকাতরা পালিয়ে যায়। এ সময় তাদের কাছ থেকে দেশীয় তৈরী একটি পাইপগান, ১টি কার্তুজ, ১টি হাসুয়া ও একটি লোহার তৈরী কুড়াবাড়ী উদ্ধার করে। এ ঘটনায় আসামীদের বিরুদ্ধে গোলাপগঞ্জ থানার এসআই খন্দকার আতিকুর রহমান বাদি হয়ে একটি অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের করেন। যার নং-৪ (৫-১১-২০১৬)।
দীর্ঘ তদন্ত শেষে ২০১৭ সালের ৩ মে গোলাপগঞ্জ থানার এসআই ফরিদ আহাম্মদ ৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে এ মামলার চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দাখিল করেন এবং একই বছরের ১৬ জুলাই থেকে আদালত এ মামলার বিচারকার্য্য শুরু করেন। দীর্ঘ শুনানী ও ৮সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত আসামী মতিউর রহমান উরফে আতাউর রহমান সুজন উরফে সফর ও ফয়সল আহমদকে অস্ত্র আইনের ১৮৭৮ (সংশোধনী/২০০২) এর ১৯ (অ) এবং (ভ) ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে তাদেরকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড এবং অপর আসামী আব্দুল হক ও হাজারী শিপনকে এ মামলা থেকে বেকসুর খালাস প্রদান করা হয়েছে। রাষ্ট্রপক্ষে এপিপি এডভোকেট এসএম পারভীন মামলাটি পরিচালনা করেন।