রাষ্ট্রায়াত্ব চিনিকল বন্ধ/বিরাষ্ট্রীয়করণের সরকারি উদ্যোগের প্রতিবাদে ওয়ার্কার্স পার্টি সিলেট জেলা কমিটির জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে শিল্পমন্ত্রী বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। ৭ অক্টোবর বুধবার দুপুর ১২টায় এই স্মারকলিপি দেন ওয়ার্কার্স পার্টি সিলেট জেলা কমিটির নেতৃবৃন্দ।
স্মারকলিপিতে নেতৃবৃন্দ উল্লেখ করেন, চিনি শিল্প আমাদের দেশের শিল্পায়নের প্রাথমিক উদ্যোগ। পাঠশিল্পের মতো চিনি শিল্পের সাথেও এদেশের তৃণমূল পর্যায়ে আখচাষীরা জড়িত। অতএব চিনি শিল্প বন্ধ হলে বা বিরাষ্ট্রীয়করণ হলে এসব আখচাষীরা কর্মসংস্থানহীন হয়ে পড়বে। চিনি শিল্পকে অলাভজনক বলা হলেও এ শিল্পকে আধুনিকীকরণের কোন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয় নাই। এমনকি চিনি শিল্পের বাইপ্রোডাক্ট কখনোই কাজে লাগানো হয়নি। চিনি শিল্পের সঙ্গে ডিষ্ট্রিলারী শিল্প ও কাগজজাত শিল্প গড়ে তোলার কোন উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। অথচ এ বিষয়ে মনোযোগ না দিয়ে সরকার দেশকে আমদানি নির্ভর করে তোলার প্রবণতা দেখা দিয়েছে। এই চিনি শিল্পের জড়িত প্রায় ৭০ হাজার শ্রমিকের বিকল্প কর্মসংস্থান না করে এ শিল্প বন্ধের উদ্যোগ হতাশাজনক।
নেতৃবৃন্দ স্মারকলিপিতে ৪ দফা দাবি উত্থাপন করেন। দাবিগুলো হলো- চিনি শিল্পকে রাষ্ট্রীয় শিল্প হিসেবে আধুনিকীকরণ করতে হবে, প্রতি ৩টি চিনি শিল্পের সাথে যুক্ত থাকবে একটি ডিষ্ট্রিলারী, যা রপ্তানী বাণিজ্যকে শক্তিশালী করবে, আখের উচ্ছিষ্ট দিয়ে কাগজ ও হার্ডবোর্ড তৈরির শিল্প কারখানা গড়ে তুলতে হবে, যা বহুপূর্বে পাকশী পেপার মিলে স্থাপন করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল, চিনি বাজারজাতকরণের ক্ষেত্রে ইতিবাচক উদ্যোগ নিতে হবে এবং যেসব কর্মকর্তাগণ দুর্নীতিতে জড়িত তাদেরকে শাস্তির আওতায় আনতে হবে। পরিশেষে নেতৃবৃন্দ ৪ দফা প্রস্তাবের ভিত্তিতে সমস্যা সমাধানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের সংশ্লিষ্ট দফতরের প্রতি জোর দাবি জানান।
স্মারকলিপি প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন, ওয়ার্কার্স পার্টি সিলেট জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক কমরেড ইন্দ্রানী সেন শম্পা, সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য কমরেড হিমাংশু মিত্র ও জেলা কমিটির সদস্য অজিত দেবনাথ। বিজ্ঞপ্তি