শিশু নির্যাতন বন্ধে সরকার কঠোর – প্রধানমন্ত্রী

40
গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বাংলাদেশ শিশু একাডেমী মিলনায়তন প্রান্তে যুক্ত হয়ে বিশ্ব শিশু অধিকার দিবস এবং শিশু অধিকার সপ্তাহের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের শিশু গ্রন্থমালা ‘আমরা এঁকেছি ১০০ মুজিব’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

কাজিরবাজার ডেস্ক :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিশু নির্যাতন বন্ধে সরকারের কঠোর অবস্থানের কথা জানিয়ে বলেছেন, তাঁর সরকার শিশুদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে যে কোন ধরনের শিশু নির্যাতনের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করছে। শিশুদের নিরাপত্তার ব্যবস্থাও আমরা নিচ্ছি। আমরা চাই, আমাদের শিশুরা নিরাপত্তা নিয়ে সুন্দরভাবে বাঁচবে, মানুষের মতো মানুষ হবে। সেটাই আমাদের লক্ষ্য। শিশুদের আমরা এমনভাবে তৈরি করে যাব, এই বিশ্বকে এমনভাবে তৈরি করতে চাই- আমাদের শিশুরা যেন সুন্দরভাবে বাঁচতে পারে, চলতে পারে, উন্নত ও সুন্দর জীবন পেতে পারে, নিরাপদ জীবন পেতে পারে, আর শিক্ষাদীক্ষায় এবং সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হয়। বিশ্বের কোথাও কোন শিশুর অকালমৃত্যু তাঁকে ভীষণভাবে নাড়া দেয় উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যে কোন শিশুর অকালমৃত্যু আমাকে ভীষণভাবে নাড়া দেয়। শিশুদের জন্য নিরাপদ, বাসযোগ্য পৃথিবী গড়ার তাগিদ দিয়ে তিনি বলেন, বিশ্বে দেখি নানা ধরনের সংঘাত। যখন দেখি কোন শিশুর অকালমৃত্যু সেটা সত্যিই আমাকে ভীষণভাবে নাড়া দেয়। সেটা আমার দেশেই হোক বা বিদেশেই হোক, বঙ্গোপসাগরেই হোক, ভূমধ্যসাগরের পারেই হোক- প্রতিটি ঘটনাই আমাকে নাড়া দেয়। কিন্তু আমরা চাই, শিশুদের জন্য এ পৃথিবীটা একটা নির্ভরযোগ্য, শান্তিপূর্ণ বাসযোগ্য স্থান হোক।
সোমবার বিশ্ব শিশু অধিকার দিবস ও শিশু অধিকার সপ্তাহ-২০২০-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ শিশু একাডেমি মিলনায়তনে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি অংশগ্রহণ করেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ‘মুজিববর্ষ’ উপলক্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন ও কর্মের ওপর শিশুদের আঁকা নির্বাচিত ছবি নিয়ে ‘আমরা এঁকেছি ১০০ মুজিব’ এবং নির্বাচিত লেখা নিয়ে ‘আমরা লিখেছি ১০০ মুজিব’সহ শিশুদের লেখা বইয়ের (২৫টি বইয়ের সিরিজ) মোড়ক উন্মোচন করেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী শিশুদের পরিবেশিত বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন। মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেছা ইন্দিরা এমপি, ইউনিসেফ বাংলাদেশের প্রতিনিধি ভীরা মেন্ডনকা অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন এবং বাংলাদেশ শিশু একাডেমির চেয়ারম্যান লাকী এনাম স্বাগত বক্তব্য রাখেন। শিশুদের পক্ষে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ শিশু একাডেমির প্রশিক্ষার্থী নাবিদ রহমান তুর্য এবং হৃদিকা নূর সিদ্দিক। গণভবন প্রান্তে এ সময় প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মোঃ তোফাজ্জল হোসেন মিয়া, প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম উপস্থিত ছিলেন।
উপস্থিত শিশুদের উদ্দেশ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর বক্তব্যে বলেন, কবি সুকান্তের ভাষায় বলতে চাই, এ বিশ্বকে শিশুর বাসযোগ্য করে যাব নবজাতকের কাছে এ আমার অঙ্গীকার। তাঁর কথাটা সব সময় মনে রাখি। এ বিশ্বকে আমরা এমনভাবে তৈরি করতে চাই- আমাদের শিশুরা যেন সুন্দরভাবে বাঁচতে পারে, চলতে পারে, উন্নত ও সুন্দর জীবন পেতে পারে। আর শিক্ষাদীক্ষায় সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হয়।
প্রধানমন্ত্রী অভিভাবকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, মহামারীর এই সময়ে স্কুল যেহেতু বন্ধ, বাচ্চাদের মুক্ত হাওয়ায় খেলার সুযোগ দিতে প্রতিদিন অল্প সময়ের জন্য হলেও তাদের কাছাকাছি কোন পার্ক বা মাঠে নিয়ে যাবেন। ছোটাছুটি করা, খেলাধুলা সেগুলো যেন শিশুরা করতে পারে, সেই সুযোগটা সৃষ্টি করে দেওা দরকার। কারণ তাদের স্বাস্থ্যের জন্য, তাদের মানসিক অবস্থাটার জন্য এটা খুবই দরকার।
তিনি বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে একটা সমস্যা দেখা দিয়েছে যে, স্কুল খোলা যাচ্ছে না এবং বাচ্চারা স্কুলে যেতে পারছে না, সত্যিই সেটা খুব কষ্টের। কারণ ঘরের মধ্যে বসে থেকে কি করবে তারা? তিনি বলেন, আমাদের দেশে তবুও কিছু কিছু যৌথ পরিবার রয়েছে। যৌথ পরিবারের শিশুদের খুব একটা কষ্ট হয় না। কারণ নিজের আত্মীয়-স্বজনদের মধ্যে সমবয়সী অনেক পাওয়া যায়- তাদের সঙ্গে মিলেমিশে খেলাধুলা করে, খুনসুটি করে, ঝগড়া করেও আবার একসঙ্গে মিলে খেলাধুলাও করতে পারে। তাদের একটু সুন্দর পরিবেশ থাকে, কথা বলার একটা সুযোগ পায়। কিন্তু যেখানে একক বা ছোট্ট পরিবার বা একা শিশু তাদের জন্য সত্যিই খুব কষ্টকর, তারা কী করবে?
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই শিশুরাই আগামী দিনের কা-ারী। তাদের ‘মানুষের মতো মানুষ’ হিসেবে গড়ে তুলতে লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলা, শরীরচর্চা এবং বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডেও তাদের সম্পৃক্ত করা জরুরী। মহামারীর মধ্যে স্বাস্থ্য সুরক্ষার নিয়মগুলো সবাইকে মেনে চলতে হবে। কিন্তু সঙ্গে সঙ্গে বাচ্চাদের একটু খোলা বাতাসে নিয়ে যাওয়া, একটু রোদে খেলতে দেয়া- এটা এই করোনাভাইরাসের জন্য সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ বলে আমি মনে করি। কাজেই আমি চাইব, আপনারা সেদিকটা অন্তত দেখবেন। জ্ঞানে-বিজ্ঞানে সর্বশ্রেষ্ঠ জাতি হিসেবে বাঙালী জাতি বিশ্বে মাথা উঁচু করে চলবে, সেটাই আমরা চাই।
শিশুদের জন্য একটি নির্ভরযোগ্য, শান্তিপূর্ণ বাসযোগ্য পৃথিবী গড়ার স্বপ্নের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, আমরা কথায় বলিÑ শিশুরাই জাতির ভবিষ্যত। এটা অবশ্যই। কিন্তু সেই ভবিষ্যত বংশধরদের তৈরি করতে হবে মানুষের মতো মানুষ করে। তাদের মেধা, তাদের জ্ঞান, তাদের বৃদ্ধি সবকিছু বিকশিত হওয়ার সুযোগ করে দিতে হবে। আজকে এই শিশুদের মধ্য থেকেই তো কেউ প্রধানমন্ত্রী হবে, মন্ত্রী হবে বা ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার বা বিজ্ঞানী, অনেকেই অনেক কিছু হতে পারবে। আর আমরা সেই ধরনের বহুমুখী জ্ঞান বিকাশের জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বিশ্ববিদ্যালয়- সব আমরা করে দিচ্ছি। যাতে বহুমুখী শিক্ষা পেয়ে আমাদের ছেলেমেয়েরা মানুষের মতো মানুষ হয়।
নিজের শৈশবের কথা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমার আব্বাকে তো (বঙ্গবন্ধু) জনগণের জন্য আন্দোলন করতে করতে জেলখানায় বেশি সময় কাটাতে হয়েছে। আমরা যেমন বাবার স্নেহ থেকে বঞ্চিত হতাম, তিনিও তখন আমাদের কাছে পেতেন না। কারাগারেই দেখা হতো। শিশুদের প্রতি তাঁর একটা প্রচন্ড ভালোবাসা ছিল, আগ্রহ ছিল এবং শিশুরাও তাঁকে খুবই পছন্দ করত। আমাদের আত্মীয়, পরিবার, পরিজন ছাড়াও যে কোন শিশু তাঁর কাছে এলে কেমন যেন একটা আপন করে নিতেন।’
শিশুদের অধিকার নিশ্চিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরার পাশাপাশি বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের বিভিন্ন পরিকল্পনা ও উদ্যোগের কথাও তুলে ধরেন তাঁরই কন্যা শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, জাতির পিতার আদর্শ বাস্তবায়নে সরকার শিশুদের অধিকার নিশ্চিতে কাজ করে যাচ্ছে। শিশুদের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি পুষ্টিহীনতা দূর করতে এবং স্কুল থেকে ঝরে পড়া বন্ধ করতে স্কুল ফিডিং কর্মসূচীও বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
২০০৮ সালের নির্বাচনী ইশতেহারে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলার ঘোষণা দেয়ার কথা মনে করিয়ে দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আল্লাহর রহমতে আজ আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ করতে পেরেছি বলেই এই অনলাইনে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে আপনাদের সঙ্গে মিলিত হতে পারছি। কিন্তু আমার দুঃখ লাগছে, আমি উপস্থিত হতে পারলাম না। তারপরও আমি বলব, এ যে একটা সুযোগ আমাদের সৃষ্টি হয়েছে এই প্রযুক্তি আমাদের সেই সুযোগটা এনে দিয়েছে।
এ সময় সারাদেশে মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম সৃষ্টির পাশাপাশি করোনাকালীন অনলাইন শ্রেণী কার্যক্রম যাতে হয় সেজন্য তাঁর সরকার পদক্ষেপ নিয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ হবার সুবাদে প্রযুক্তি ব্যবহার করেই লেখাপড়া যাতে নষ্ট না হয় সেদিকে সরকার বিশেষভাবে দৃষ্টি দিচ্ছে। লেখাপড়া, খেলাধূলা বা শরীরচর্চা অথবা বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড শিশুদের জন্য খুবই দরকার। সেগুলোর যেন ব্যবস্থা থাকে পাশাপাশি মনোযোগ দিয়ে লেখাপড়া করতে হবে। কারণ শিক্ষা ছাড়া তো আসলে কখনই একটা দেশকে কিছু দেয়া যায় না।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা কারিগরি শিক্ষার ওপর গুরুত্ব দিচ্ছি। আমাদের ছেলেমেয়েরা যেন ছোট বয়স থেকে তাদের ভেতর কিছু সৃষ্টির একটা ক্ষমতা থাকে, সেটা বিকশিত হওয়ার সুযোগ করে দেয়া, সাংস্কৃতিক চর্চা খেলাধূলা সব ধরনের ব্যবস্থা করেছি। প্রত্যেকটি উপজেলায় একটি করে মিনি স্টেডিয়াম তৈরি করে দিচ্ছি যাতে সেখানে শিশু থেকে শুরু করে সকল শিক্ষার্থী খেলাধুলা করতে পারে। তাদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা নিচ্ছি। নানা ধরনের যে অত্যাচার-নির্যাতন কোন কিছু হলে সঙ্গে সঙ্গেই যেন তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া যায় সেদিকে বিশেষ দৃষ্টি দিচ্ছি।
বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের জন্য সরকারের গৃহীত পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারা যেন সমাজের কাছে অপাঙক্তেয় না হয় সেজন্য তাদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ, নানা সুযোগ-সুবিধা এমনকি খেলাধুলাতেও উৎসাহ প্রদান করে যাচ্ছে। বিশেষ অলিম্পিকে প্রতিবন্ধীদের সাফল্যের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের জন্য এ পর্যন্ত তারা ২১টি স্বর্ণসহ ৭১টি পদক জয় করে এনেছে। প্রতিবন্ধীদের মেধা বিকাশে সরকার একটি বিশেষ একাডেমি করে দিচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, সমাজের কেউ যেন বাদ না যায় সেজন্য আমরা তাদেরকে বিশেষ ভাতাও প্রদান করছি।
এ সময় প্রাথমিক পর্যায়ে সরকার প্রদত্ত ১ কোটি ৩০ লাখ শিশুকে বৃত্তি-উপবৃত্তি প্রদান এবং প্রতিমাসেই মোবাইল ফোনের মাধ্যমে মায়েদের কাছে বৃত্তির টাকা পৌঁছে দেয়ার পদক্ষেপ প্রসঙ্গে সরকারপ্রধান বলেন, করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যেও আমরা এই টাকা পাঠানো বন্ধ করিনি। বৃত্তি-উপবৃত্তি আমরা অব্যাহত রেখেছি, যাতে তাদের পড়াশোনার প্রতি আগ্রহ নষ্ট না হয়ে যায়। তিনি বলেন, বিনা পয়সায় আমরা পাঠ্যপুস্তক যেমন দিচ্ছি তেমনি দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের জন্য দিচ্ছি ব্রেইল বই। এমনকি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রচিত ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’রও ব্রেইল ভার্সন প্রকাশিত হয়েছে।
মহামারীর মধ্যেও প্রযুক্তি ব্যবহার করে শিশুদের লেখাপড়া যেন অব্যাহত রাখা যায়, সরকার সেদিকে বিশেষভাবে দৃষ্টি দিচ্ছে উল্লেখ করে সরকারপ্রধান ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট শিশুপুত্র রাসেলসহ তাঁর পরিবারের অধিকাংশ সদস্যকে নির্মমভাবে হত্যার ঘটনার কথাও অনুষ্ঠানে স্মরণ করেন। তিনি বলেন, কখনও যেন এই ধরনের ঘটনা না ঘটে সেটাই আমরা চাই। কিন্তু তারপরও দেখি বিশ্বে নানা ধরনের সংঘাত। কোন শিশুর অকালমৃত্যু যখন দেখি, সেটা সত্যিই আমাকে ভীষণভাবে নাড়া দেয়। সেটা আমার দেশেই হোক বা বিদেশে হোক।
বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তোলার প্রত্যয় ব্যক্ত করে তাঁর কন্যা শেখ হাসিনা বলেন, ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ হবে, উন্নত-সমৃদ্ধ হবে। উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত জ্ঞানে-বিজ্ঞানে সর্বশ্রেষ্ঠ জাতি হিসেবে বাঙালী জাতি বিশ্বে মাথা উঁচু করে চলবে- সেটাই আমরা চাই। আজকের শিশুরা নিজেদের সেভাবে গড়ে তুলবে। কিছু সমস্যা আসবে, সেই সমস্যা অতিক্রম করেই আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।