কাজিরবাজার ডেস্ক :
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন- দেশের আইন তার নিজস্ব গতিতে চলছে। বিচার বিভাগের ওপর সরকারের কোনো হস্তক্ষেপ নেই। তিনি বলেন, সরকার নিজের দলের কর্মীদেরও অপকর্মের জন্য শাস্তি দিতে এতোটুকুও কুণ্ঠিত নয়, সেটা বারবার প্রমাণ হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, দেশের মানুষ দেখেছে নিজ দলের সমর্থক বা নেতারাও অপরাধী হলে সরকার আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণে কোথাও কোনো বাঁধা দেয়নি। সিলেটের ঘটনার ব্যাপারেও আমি একই কথা বলতে চাই, সরকারের অবস্থা, শেখ হাসিনার অবস্থা এখানে অত্যন্ত কঠোর। কোনো অবস্থাতে অপরাধী যেই হোক তাকে ছাড় দেওয়া হবে না। তাকে বিচারের আওতায় আনা হবে এটাই শেখ হাসিনার নির্দেশ।
রবিবার দুপুরে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ উপ কমিটি আয়োজিত প্রাকৃতিক ও মানবসৃষ্ট দুর্যোগ মোকাবিলায় মানবতার নেত্রী শেখ হাসিনা শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
পাবনা উপনির্বাচনে বিএনপির ভোট বর্জন প্রসঙ্গে বলেন, নির্বাচনে প্রচার না চালিয়ে পোলিং এজেন্ট না দিয়ে, মাঠে না থেকে অভিযোগের পর অভিযোগ করে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করা বিএনপির সেই পুরনো কৌশল, আজকে তারা আবার কাজে লাগাতে চেয়েছে। সেই পুরনো কৌশল আবারও প্রমাণ হয়েছে মরচে ধরে গেছে।
তিনি বলেন, জনগণ আর বিএনপির মিথ্যাচারে বিশ্বাস করে না। দলের কর্মীরা নির্বাচন করতে চাইলেও নেতারা দিচ্ছেন না। তারা জনগণের মনের কথাই তো বোঝেন না, দলের কর্মীদের মনের কথাও বুঝতে পারেন না। লোক দেখানো অংশগ্রহণে বিএনপির তৃণমূলের নেতাকর্মীরা কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের ওপর ক্ষুব্ধ।
নির্বাচনে হারার আগেই হেরে দাম্ভিক বৃত্ত থেকে বিএনপি এখনো বেরিয়ে আসতে পারে নাই। স্বতঃস্ফূর্তভাবে জনগণের উপনির্বাচনে অংশগ্রহণ, আমরা স্বাভাবিকভাবে উপনির্বাচনে এতো টার্ন আউট কখনো লক্ষ্য করিনি যেটা ইশ্বরদী আটঘরিয়ার নির্বাচনে ভোটাররা দেখিয়েছে। আওয়ামী লীগ প্রার্থীকে বিজয়ী করার মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনার প্রতি জনগণের মানুষের আস্থা আবারও প্রমাণিত হয়েছে।
বিএনপি নেতারা বিরামহীনভাবে তাদের নেতা-কর্মীদেরকে গ্রেফতার, মিথ্যা মামলার ও কারান্তরীণ করছে বলে সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করছেন। আমরা মনে করি, এই অভিযোগ সরকারের বিরুদ্ধে বিএনপির চিরাচরিত মিথ্যাচার। বিএনপির কোনো কেন্দ্রীয় নেতাকে কোনো জেলা পর্যায়ের নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে, জেলে দিয়েছে। আপনি বলুন মহাসচিব সাহেব।
সরকার দমন নীতিতে বিশ্বাস করে না। আপনাদের সঙ্গে মানবিক আচরণ করছে। নিজের দলের নেত্রীকে জেলে রেখে একটা মিছিল আপনারা করতে পারেন না, সেখানে বেগম জিয়ার জামিনের মেয়াদ বাড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজনীতিতে মানবিকতার অনন্য নজির স্থাপন করেছেন। সেটা কি আপনারা ভুলে গেছেন? শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞ না থেকে অবিরাম মিথ্যাচারের ফানুস উড়াচ্ছে বিএনপি। শিল্পাচার্য জয়নুলের আটকে পড়া গরুর গাড়ির মতো বিএনপির রাজনীতি এখন মিথ্যাচারের চোরাবালিতে আটকে আছে।