দেশের প্রথম ট্যুরিজম কোম্পানি আনন্দ ট্যুরিজমের যাত্রা শুরু রবিবার

17
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন আনন্দ ট্যুরিজম (প্রা.) লিমিটেডের চেয়ারম্যান মো: আব্দুল জবাব জলিল।

স্টাফ রিপোর্টার :
দেশের প্রথম ট্যুরিজম কোম্পানি হিসেবে আনন্দ ট্যুরিজম (প্রা.) লিমিটেডের যাত্রা শুরু হতে যাচ্ছে রবিবার। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কোম্পানির উদ্বোধন করবেন। সিলেট অঞ্চলের পর্যটন ব্যবসার উন্নয়ন ও উন্নত পর্যটন বান্ধব কার্যক্রম পরিচালনার লক্ষ্যে এ কোম্পানির যাত্রা বলে জানিয়েছেন কোম্পানির চেয়ারম্যান আব্দুল জব্বার জলিল। শনিবার নগরীর জেলরোডস্থ সিলেট মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির হলরুমে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এমন তথ্য জানানো হয়।
লিখিত বক্তব্যে আব্দুল জব্বার জলিল জানান, সিলেটের ট্যুরিজমে অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ২৭ জন পরিচালকের সমন্বয়ে আনন্দ ট্যুরিজম (প্রা:) লি. নামে জয়েন্ট স্টক থেকে রেজিষ্টার্ড একটি কোম্পানি করা হয়েছে । তিনি বলেন, পর্যটন খাত বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের একটি বড় অবলম্বন। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ তাদের ব্যবসায়িক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে পর্যটন খাতকে প্রধান অবলম্বন হিসেবে বেছে নিয়েছে। নেপাল, থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, দুবাই, ইউরোপ, আমেরিকা এমনকি সৌদি আরবও পর্যটন খাতকে সমৃদ্ধ করার লক্ষ্যে ঘোষণা দিয়েছে।
আব্দুল জব্বার জলিল বলেন, সিলেট অঞ্চলে প্রায় ৩২টি পর্যটন স্পট রয়েছে। সিলেট প্রবাসী অধ্যুষিত একটি অঞ্চল। সিলেটের প্রবাসীরা পরিবার পরিজন নিয়ে বেড়াতে আসেন। সিলেট অঞ্চলে ৩৬০ আউলিয়ার পুণ্যভূমি হযরত শাহজালাল (রহ.) ও হযরত শাহপরাণ (রহ.) এর মাজার কেন্দ্রিক যে সমস্ত দেশীয় পর্যটক আসেন তারা জাফলং, সাদাপাথরসহ ৩/৪ পর্যটন স্পট ছাড়া অন্যান্য স্পটের নামই জানেন না । আমাদের পর্যটন বান্ধব মানষিকতা, দক্ষ গাইড, বিভিন্ন স্পটের ইতিহাস প্রচারে ব্যর্থ হওয়ার কারণে অনেক সময় দেশি-বিদেশী পর্যটকরাও বিরক্ত হয়ে ফিরে যান। সর্বোপরি পর্যটন সংশ্লিষ্ট বিষয়াদির উপর আমাদের দক্ষতা এবং যোগাযোগ ব্যবস্থাসহ জন সাধারণের মন-মানসিকতা পর্যটন সহায়ক না থাকায় দেশি এবং বিদেশী অনেক পর্যটক বেড়াতে আসতে অনিহা প্রকাশ করেন। এতে করে সিলেট অঞ্চলের ব্যবসায়িরা অর্থনৈতিক আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। একই সঙ্গে দেশ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে ব্যর্থ হচ্ছে।
তিনি বলেন, আগামীতে হযরত শাহজালাল (রহ.) ও শাহপরাণ (রহ.) মাজারসহ সিলেটের বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানে আকর্ষনীয় সৌন্দর্য বর্ধনসহ বিভিন্ন ধরনের বুথ করার পরিকল্পনা রয়েছে। যা থেকে আগত পর্যটকরা সহজে দিক নির্দেশনা পাবেন আমাদের নিজস্ব পরিবহনের মাধ্যমে, সিটি ট্যুরসহ অন্যান্য পর্যটন স্পটে পর্যটকদের সেবায় সহজ, নিরাপদ ও স্বল্প খরচে যাতায়াতের ব্যবস্থা করা হবে।সিলেটের সুরমা নদী, টাঙ্গুয়ার হাওর, হাকালুকির হাওরসহ বিভিন্ন বড় বড় নদী ও হাওরে আমাদের নিজস্ব জলতরির মাধ্যমে ঘোরাফেরারও ব্যবস্থা থাকবে।