ওপেনার হওয়ার ইতিহাস জানালেন শচীন

5

স্পোর্টস ডেস্ক :
ওয়ানডেতে ওপেনার হিসেবে খেলার ইচ্ছাটা নিজেই দলের অধিনায়ক ও কোচকে জানিয়েছিলেন ভারতের ‘মাস্টার ব্লাস্টার’ শচীন টেন্ডুলকার। আর ওপেনার হিসেবে খেলতে নেমে যদি ব্যর্থ হন, তবে আর কখনো অধিনায়ক ও কোচের সামনে আসবেন না বলে হুংকার দেন টেন্ডুলকার।
বিশ্বের সেরা এই সাবেক ব্যাটসম্যানের আগ্রহে, তাকে ওপেনার হিসেবে পাঠান অধিনায়ক ও কোচ। ওয়ানডেতে প্রথমবারের মত ওপেনার হিসেবে নেমে বাজিমাত করেন টেন্ডুলকার। ১৯৯৪ সালের ২৭ মার্চ অকল্যান্ডে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৪৯ বলে ১৫টি চার ও ২টি ছক্কায় ৮২ রানের নান্দনিক ইনিংস খেলেন টেন্ডুলকার। এরপর থেকে ওয়ানডেতে ভারতের ওপেনার হিসেবে পাকাপোক্ত হয়ে যান টেন্ডুলকার। ওয়ানডে ক্রিকেটে বিশ্বের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক টেন্ডুলকার। যার ৮০ শতাংশ রান ওপেনার হিসেবে করেন তিনি।
সম্প্রতি ভারতের সাবেক ক্রিকেটার আকাশ চোপড়ার ইউটিউব চ্যানেলে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন টেন্ডুলকার। সেখানে তার ওপেনার হিসেবে নামার রহস্য জানান তিনি।
টেন্ডুলকার বলেন, ‘১৯৯৪ সালে নিউজিল্যান্ড সফরে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে খেলেননি নভজোত সিং সিধু। কারণ তার গলা ব্যথা ছিল। ফলে ওপেনার হিসেবে কাকে নামানো হবে, এ নিয়ে চিন্তায় ছিলেন ওই সময়ের কোচ অজিত ওয়াদেকার ও অধিনায়ক মোহাম্মদ আজহারউদ্দিন। তাদের চিন্তা দেখে, আমি আজহারকে বলি, আমি ওপেনার হিসেবে খেলতে চাই। যদি ব্যর্থ হই আমি আর তাঁর কাছে আসব না।’
টেন্ডুলকারের আত্মবিশ্বাস দেখে মুগ্ধ হন ওয়াদেকার ও আজহার। এতে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে অজয় জাদেজার সাথে ওপেনিংয়ে নামের টেন্ডুলকার। মাত্র ১৪৩ রানের টার্গেট টেন্ডুলকারের বিধ্বংসী ব্যাটিংএ পেরিয়ে যায় ভারত। ১৬০ বল বাকী রেখে ৭ উইকেটে ম্যাচ জিতে চার ম্যাচের সিরিজে সমতাও আনে ভারত। পরের দু’ম্যাচেও ওপেনার হিসেবে খেলে ৬৩ ও ৪০ রান করেন টেন্ডুলকার।
টেন্ডুলকারের এমন সাহসী ব্যাটিংয়ের প্রশংসা করেছিলেন ওয়াদেকার-আজহারসহ দলের সকল সদস্য। টেন্ডুলকার বলেন, ‘এরপর তাদের অধীনে ৬০-৭০ টি ম্যাচে ওপেনার হিসেবে ব্যাট করতে নেমেছি আমি। কোনদিনও তাদের কাছে আমার ব্যাটিং অর্ডার নিয়ে জিজ্ঞাসা করতে হয়নি। আমার জন্য তারা চিন্তামুক্ত হয়েছিলেন।’
ওয়ানেড ক্যারিয়ারে ৪৬৩ ম্যাচে ৪৯টি সেঞ্চুরি ও ৯৬টি হাফ-সেঞ্চুরিতে ১৮৪২৬ রান করেছেন টেন্ডুলকার। ৩৪৪টি ম্যাচে ওপেন করেছেন তিনি। ৪৮ দশমিক ২৯ স্ট্রাইক রেটে ওপেনিংএ ১৫,৩১০ রান করেছেন ‘লিটল মাস্টার’।