নগরীতে জনদুর্ভোগ চরমে

10

সিলেট মহানগরীকে আধ্যাত্মিক রাজধানী হিসাবে খ্যাত বলা হলেও বর্তমান নগরীর হালচাল দেখলে মনে হয় এ নগরীর রক্ষক বলতে কেউ নেই। নগরীকে সৌন্দর্য্যে বর্ধনকারীরাই সৌন্দর্য্যে হরণকারী হিসাবে রূপ ধারণ করেছে। মেঘ-বৃষ্টি হলে সমস্ত নগরী যেমন কাদামাটির ছড়াছড়ি, তেমনি রোদ দিলে ধূলা-বালির ছড়াছড়িতে নগর জীবন চরম হুমকিতে পরিণত হয়ে পড়ছে। বর্তমান করোনা মহামারির ক্রান্তিলগ্নে নগরীর এ করুণ অবস্থা কোন বিবেকমান ব্যক্তি কতটুকু মেনে নিতে পারবেন। তাই সচেতন মহলের জিজ্ঞাসা ?
হযরত শাহজালাল (রহ.) ও শাহ-পরান (রহ.) সহ ৩৬০ আউলিয়ার পুণ্যভূমি সিলেট নগরীর নাগরিক জীবন নানাবিদ সমস্যার মধ্যে দিয়ে অতিবাহিত করতে হচ্ছে। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত শুধু সমস্যার জঞ্জাল থেকে বের হতে পারছে না। এ সব জঞ্জাল সমূহের মধ্যে; যানজট, ফুটপাত অপদখলে প্রতিটি সড়কে ময়লা-আবর্জনার ভাগাড়, সর্বত্র শব্দ-দূষণ, প্রতিটি পয়েন্টের আশ-পাশ বিপণী কেন্দ্র গুলোতে গ্যাস সিলিন্ডার দিয়ে স্ন্যাক বার নামক স্থানে নানা ধরনের মুখরোচক খাবারের দোকান গুলোর বিকট চোখ জ্বালা নানাবিদ মসলার দুর্গন্ধ জনজীবনকে অতিষ্ঠ করে তুলে। যা সম্পূর্ণ জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক।
নগরবাসীর জন্য সবচেয়ে বড় সমস্যা প্রতিটি মোড় ও পয়েন্টের অবৈধ যানবাহন ষ্ট্যান্ড, এ গুলোতে অতিরিক্ত সিএনজি সহ অন্যান্য যানবাহনের ভীড়ে পথচারীদের চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে। নগরীতে চলাচলকারী যানবাহনের চলাচলে কোন শৃংখলা আছে বলে মনে হয় না। যানবাহন চলাচলে কোন শৃংখলা যেমন সাধারণ যানবাহনের চালকদের মধ্যে নেই, তেমনি সরকারী-বেসরকারী, ব্যক্তি চালিত যানবাহনে লেষ মাত্র নেই।
অনেকের মতে; নগরীতে অবৈধ যানবাহন বৃদ্ধি সহ যানজটের ম্যারপেঁচে পড়ে হতাহতের সংখ্যা কম নয়। নগরীকে যানজট থেকে মুক্ত করতে দিনের বেলায় ট্রাক, পিকআপসহ বড়-বড় যানবাহন বন্ধ করার বিকল্প নেই।
নগরীকে সৌন্দের্য্যরে নগর করতে যতসব জঞ্জাল মুক্ত নগর গড়ে তুলতে সংশ্লিষ্ট বিভাগ এগিয়ে আসা খুবই জরুরী বলে সচেতনমহল মনে করেন।