সিলেটের মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল একটি বিভাগীয় প্রত্নতাত্ত্বিক জাদুঘর। কিন্তু সে দাবি অধরাই রয়ে গেছে। বিভিন্ন সীমাবদ্ধতার কারনে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর সে দাবি পুরণ করতে পারছিল না। বর্তমান সরকারের আন্তরিক সহযোগিতায় সে কাজটি সম্পাদনের প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই স্থান নির্বাচনের চূড়ান্ত কাজ চলছে। স্থান চূড়ান্ত হলেই জাদুঘরের কার্যক্রম শুরু হবে।
এমনটাই জানালেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও প্রত্নত্ত্ব অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. হান্নান মিয়া। বৃহস্পতিবার সকালে সম্ভাব্য কয়েকটি স্থান পরিদর্শন করে এ তিনি কথা জানান। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের আঞ্চলিক পরিচালক ড. মো: আতাউর রহমান, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মিজান আজিজ চৌধুরী সুইট, সেভ দ্য হেরিটেজ এন্ড এনভায়রনমেন্ট’র প্রধান সমন্বয়কারী আব্দুল হাই আল হাদী প্রমুখ।
মো. হান্নান মিয়া বলেন, সিলেট একটি প্রাচীন জনপদ। এর একটি নিজস্বতা রয়েছে। একটি গৌরবময় সংস্কৃতির উত্তরাধিকার হচ্ছে এ জনপদ। এ অঞ্চলে রয়েছে প্রাগৈতিহাসিক ও ঐতিহাসিক সময়ের অনেক নিদর্শন, স্থান ও স্থাপনা। কিন্তু প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর নিজস্ব কিছু সীমাবদ্ধতার কারণে এখানে জাদুঘর ও বিভাগীয় কার্যালয় চালু করতে পারছিল না। কুমিল্লা কার্যালয় থেকে এতদিন কার্যক্রম চালানো হচ্ছিল। যার কারণে এখানে বিভাগীয় কার্যালয় ও জাদুঘর প্রতিষ্ঠা করা অপরিহার্য হয়ে উঠেছে। স্থানীয় মানুষদেরও দীর্ঘদিন ধরে এ দাবি জানিয়ে আসছিলেন।
তিনি বলেন, সিলেটে প্রতিদিন শত শত পর্যটক বেড়াতে আসেন । তারা এখান নৈসর্গিক সৌন্দর্য ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্রতা উপভোগ করতে পারলেও এখানকার সমৃদ্ধ ইতিহাস ও হেরিটেজ দেখা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। বিভাগীয় জাদুঘর প্রতিষ্ঠিত হলে পর্যটকরা এখানকার সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক নিদর্শন দেখার সুযোগ পাবেন। বিজ্ঞপ্তি