গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ

15

দেশের সর্বত্র কোন প্রকার নিয়ম-নীতি ছাড়াই এলপিজি গ্যাস বিক্রি হলে ও নিরাপত্তা হীনতায় চলছে অবাধ ব্যবসা। যা গ্রাম-গঞ্জ, শহর-বন্দর, শহরতলির আবাসিক এলাকা সমূহে সকল প্রকার নীতিমালাকে উপেক্ষা করে চলছে সিলিন্ডার ব্যবসা। এ সব গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহারের সুফল-কুফল সম্পর্কে গ্রাহকরা কখনও কিছু জ্ঞাত না হয়ে অবাধে ব্যবহার করছে।
এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবসা গ্রামাঞ্চলের সর্বত্র সহ শহরাঞ্চলের অলি-গলিতে ব্যবহার করা হচ্ছে। এ গুলো অগোছালো ভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। যে কোন সময়ে বিস্ফোরণ ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে। শহর-শহরতলির প্রতিটি হোটেল-রেস্তোরাঁ, ঘনবসতিপূর্ণ এলাকার স্নাকবারে, ছোট-ছোট চা-স্টোল, ঝুপড়ির মত তৈরি ছোট-ছোট কামরার মত বাসা-বাড়ীতে এসব গ্যাস সিলিন্ডার ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় ব্যবহৃত হচ্ছে, এগুলো খুবই বিপদজনক বলে অনেকে মনে করেন।
সিলেট সহ সারাদেশে ইতিমধ্যে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনা অনেক ঘটেছে। মানুষ হতাহতের সংখ্যা কম নয়। কিন্তু কোথাও কোন মুহূর্তে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটার পরই সংশ্লিষ্ট বিভাগের যতসব তাড়াঁহুড়া লক্ষ্যণীয়, কিন্তু এসব ঘটনা নিয়ে চলে যতসব পরামর্শ কিন্তু কিছুদিন পর হলেই কোন সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের কোন পদক্ষেপ থাকে না। এসব দুর্ঘটনা রোধে পদক্ষেপগুলো বাস্তবায়ন না হওয়ায় এবং কঠোর পদক্ষেপের অভাবে যতসব দুর্ঘটনা ঘটছে।
গ্যাস বিশ্লেষকদের মতে; সারা দেশে কোন প্রকার লাইসেন্স ছাড়াই বিক্রি হচ্ছে এলপিজি সিলিন্ডার। এ সব গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহারে বড়-ধরনের দুর্ঘটনার আশংকা, এ সব দুর্ঘটনা হতে পারে আবাসিক এলাকাসহ বস্তি এলাকা সমূহে। যদি ও এ সব গ্যাস ব্যবহার ওসিলিন্ডার প্রস্তুত করতে এবং মজুদ-বিপণন করতে হলে বিস্ফোরক পরিদফতরের লাইসেন্স গ্রহণ করা আব্যশক। কিন্তু এসব গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহারের কোন মেয়াদ ছাড়াই যেমন গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি করছে, তেমনি গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রেতাদের ও কোন লাইসেন্স আছে কিনা তা দেখার কোন সংস্থা আছে কিনা অনেকে মনে করছেন।
বিশেষজ্ঞদের মতে গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রয় কেন্দ্র গুলোতে নেই পর্যাপ্ত অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রপাতি, কোন ধরনের সরঞ্জাম। সারাদেশেই গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবসা চললে ও প্রতিরোধ মূলক ব্যবস্থা নেই। লাইসেন্সবিহীন অবৈধ ভাবে চালিত গ্যাস সিলিন্ডার বিপণন গুলোর বিরোধে কোন প্রকার আইনী ব্যবস্থা না থাকায় সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে। এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডার এর দুর্ঘটনা রোধে গ্যাস সিলিন্ডার বিপণন কেন্দ্র গুলোকে নিয়ন্ত্রণে আনতে সংশ্লিষ্ট বিভাগের কার্যকারী পদক্ষেপ নেয়া খুবই জরুরী বলে সচেতন মহল মনে করেন।