আল-হেলাল সুনামগঞ্জ থেকে :
সুনামগঞ্জের স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক ওয়াহিদুজ্জামান শিকদার, ৬/২০১৭নং স্পেশাল মামলায় বাদীপক্ষের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন দুদকের তদন্ত কর্মকর্তার দেয়া চূড়ান্ত রিপোর্ট এর বিরুদ্ধে নারাজী আবেদন মঞ্জুর করেছেন। পাশাপাশি ফরিয়াদী আব্বাছ আলীর মামলার অভিযোগের বিষয়ে দুদকের উপ-পরিচালক পর্যাদার নিম্নে নয় এমন কর্মকর্তা কর্তৃক অধিকতর তদন্তের জন্য মামলাটি দুদকের প্রধান কার্যালয় সেগুন বাগিচা ঢাকায় প্রেরণ করত: দুদকের চেয়ারম্যান বরাবরে আদেশও দিয়েছেন।
সুনামগঞ্জের সাবেক জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ নিশীত নন্দী মজুমদার, মেডিকেল অফিসার ডাঃ আখি কৈরী, জেলা সদর হাসপাতালের সাবেক সহকারী কাম হিসাব রক্ষক রইছ মিয়া,সদর থানার সাবেক এসআই জালাল উদ্দিন, পার্বতীপুর নিবাসী মৃত ওসমান গনীর পুত্র মুজিবুর রহমান,মৃত রওশন আলীর পুত্র মোতালিব মিয়া, আব্দুর রশিদের পুত্র তফাজ্জূল হোসেন, মঙ্গলকাটা গ্রামের মৃত আব্দুল আহাদের পুত্র নুরুল হক, মৃত ওসমান গনীর পুত্র নাজিম উদ্দিন গংদের বিরুদ্ধে আইনজীবী সহকারী আব্বাছ আলী বাদী হয়ে এই মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার বিবরণে প্রকাশ, পূর্ব শত্র“তার জের ধরে আসামী নাজিম উদ্দিন, বাদী আব্বাছ আলী ও তার আত্মীয় স্বজনকে আসামী করে গত ৮/১০/২০১৪ইং তারিখের একটি মিথ্যা ঘটনার বর্ণনায় ৯/১০/২০১৪ইং তারিখে সুনামগঞ্জ সদর থানায় জিআর ২১৩/২০১৪নং মামলা দায়ের করেন। উক্ত মামলায় জখমী মুজিবুর রহমান ও মোতালিব মিয়া সুনামগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালে ৮/১০/২০১৪ইং তারিখে ভর্তি থেকে পরদিন সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়ে ১১/১০/২০১৪ইং তারিখে অব্যাহতি নেন। জিআর ২১৩/২০১৪নং মামলাটির পক্ষে সদর থানার এসআই জালাল উদ্দিন আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। কথিত অভিযোগপত্রের সাথে ডাক্তারী সনদের কোন মিল পাননি আদালত। আব্বাছ আলী ও তার আত্মীয় স্বজনদেরকে হাজত খাটানোর অসদুদ্দেশ্যে সাবেক জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ নিশীত নন্দী মজুমদার ও মেডিকেল অফিসার ডাঃ আখি কৈরীর সহায়তায় জেলা সদর হাসপাতালের সাবেক সহকারী কাম হিসাব রক্ষক রইছ মিয়া, অপরাধজনক ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়ে কথিত ২ জখমী যেখানে মাত্র একদিনের জন্য জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন সেখানে ২১ দিন ও ২৪ দিন তাদেরকে জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন বলে আদালতে ভুয়া জখমী সনদপত্র প্রদান করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের সিলেট সমন্বিত আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মোঃ তোফিকুল ইসলাম, আসামীদের বিরুদ্ধে যথেষ্ট সাক্ষ্য প্রমাণাদি ও দালিলিক এভিডেন্স পাওয়ার পরও মামলাটির ফাইনাল রিপোর্ট দিয়ে আসামীদেরকে অব্যাহতি দানের আবেদন করেন। কিন্তু বিজ্ঞ বিচারক তথাকথিত দাখিলী তদন্ত প্রতিবেদন গ্রহণ না করে মামলাটি পুন: তদন্তের নির্দেশ দেন। বাদীপক্ষে এডভোকেট শহীদুজ্জামান চৌধুরী বিজ্ঞ আদালতে মামলাটি পরিচালনা করেন।