বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ৭ সমঝোতা স্মারক সই

13

কাজিরবাজার ডেস্ক :
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সাতটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল নয়টার দিকে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় দুই দেশের মধ্যে কৃষি, জ্বালানি, সামাজিক উন্নয়ন ও হাতি সংরক্ষণ এবং দ্বিপাক্ষিক সহায়তা সম্পর্কিত এসব সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মধ্যে ভার্চুয়াল বৈঠকের আগেই দুই দেশের মধ্যে এসব চুক্তি সই হয়।
বাংলাদেশের পক্ষে স্ব স্ব বিভাগের প্রধান কর্মকর্তারা এবং ভারতের পক্ষে ঢাকায় নিযুক্ত দেশটির হাইকমিশনার বিক্রম দ্বোরাইস্বামী চুক্তিগুলোতে সই করেন।
দুই দেশের মধ্যে যেসব বিষয়ে সমঝোতা হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে- বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সিইও ফোরাম, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সহযোগিতা, জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে হাইড্রোকার্বন বিষয়ে সহযোগিতা, পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে হাতি সংরক্ষণ বিষয়ে সহযোগিতা, বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল জাদুঘর ও ভারতের জাতীয় জাদুঘরের মধ্যে সহযোগিতা, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সঙ্গে কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট ও বরিশালের স্যুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্লান্ট সংক্রান্ত সহযোগিতা চুক্তি।
প্রথম চুক্তির মাধ্যমে দুই দেশের সিওও ফোরাম গঠনে স্বাক্ষর করেন বাণিজ্য সচিব মোহাম্মদ জাফর উদ্দিন এবং ভারতের হাইকমিশনার বিক্রম কে দোরাইস্বামী। সমঝোতা চুক্তির আওতায় কৃষি খাতে সহযোগিতা বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে দুই দেশ। এছাড়াও হাইড্রোকার্বন খাতে, ভারতের হাইকমিশনারের সঙ্গে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন বাংলাদেশে জ্বালানি বিভাগের অতিরিক্ত সচিব এ কে এম ফজলুল হক।
সমঝোতা চুক্তির আওতায় বরিশালের লামচড়ি অঞ্চলে পয়ঃনিষ্কাশন কার্যক্রমে সরঞ্জাম সরবরাহ করবে ভারত। সেই সঙ্গে বাংলাদেশের জাতীয় জাদুঘর, বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর এবং দিল্লির জাতীয় জাদুঘরের মধ্যে তথ্য বিনিময় ও সংরক্ষণ চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে।
এদিকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মধ্যকার ভার্চুয়াল বৈঠকের পর বাংলাদেশের চিলাহাটি ও ভারতের হলিদাবাড়ি রুটে ট্রেন চলাচল উদ্বোধন হচ্ছে। এ লক্ষ্যে ইতোমধ্যে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।
চিলাহাটি বর্ডার ট্রেন চলাচল শুরু হলে বাংলাদেশের মংলা পোর্ট এবং উত্তর ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সঙ্গে ভারতের উত্তর-পূর্ব অংশ, নেপাল ও ভুটানের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম আরও জোরদার হবে। একইসঙ্গে ঢাকাসহ বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে নিরবচ্ছিন্ন রেল যোগাযোগ সম্ভব হবে।