সাইবার অপরাধ

14

করোনাকালে কি সাইবার অপরাধ বেড়ে গেল! সাইবার বুলিংয়ের বাঁধ ভাঙল? বহু মানুষ ঘরবন্দী আর হাতের তাদের প্রযুক্তি। তাই ‘কাজ নেই তো খই ভাজ’- এমন পরিস্থিতি তৈরি হলো কিনা আশঙ্কা জাগে। তা না হলে এত বিচিত্র ধরনের সাইবার অপরাধ কীভাবে সংঘটিত হয়ে চলেছে। দেশে সাধারণত ১৩ ধরনের সাইবার অপরাধের ঘটনা ঘটছে। এগুলো হচ্ছে- পারিবারিক বিদ্বেষ সৃষ্টি, স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়া, বন্ধু-বান্ধবের মধ্যে বিরোধ তৈরি, উগ্র ও বিদ্বেষপূর্ণ মন্তব্য প্রচার, ইউটিউবে অন্তরঙ্গ ভিডিও ও ছবি আপলোড, ফেক এ্যাকাউন্ট তৈরি, পাসওয়ার্ড বা গোপন নম্বর অনুমান করে আইডি হ্যাক, মোবাইল ব্যাংকিং, ই-কমার্স, ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড জালিয়াতি, অনলাইন এমএলএম (মাল্টি লেভেল মার্কেটিং), অনলাইনে প্রশ্নপত্র ফাঁস ও অনলাইন গ্যামব্লিং (জুয়া)। তবে সরকারও কঠোর হচ্ছে। সাইবার অপরাধ দমনে গ্রহণ করছে বহুমুখী উদ্যোগ। ইতোমধ্যে চালু হয়েছে সাইবার ট্রাইব্যুনাল। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীতে গঠন করা হয়েছে সাইবার ইউনিট। প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের। শীঘ্রই চালু করা হবে সাইবার থানার কার্যক্রম। বাংলাদেশ সাইবার ট্রাইব্যুনাল ২০১৩ সাল থেকে চলতি বছরের ২৪ আগস্ট পর্যন্ত ১২৪টি মামলার রায় ঘোষণা করেছে। এর মধ্যে অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় ৩৫টি মামলায় আসামির সাজা হয়েছে। বাকি ৮৯টি মামলায় আসামিরা খালাস পেয়েছেন। তদন্ত কর্মকর্তা সাক্ষীদের সাক্ষ্য ও মামলার তথ্যগত কাগজপত্র সঠিকভাবে পর্যালোচনা না করে আদালতে রিপোর্ট প্রদান করায় আসামিরা খালাস পেয়ে যাচ্ছে, যা কাম্য নয়।