মজুমদারিতে পুলিশ সদস্যের স্ত্রীর আত্মহত্যা, স্বামী বলছেন মানসিক রোগী

11

স্টাফ রিপোর্টার :
নগরীর মজুমদারিতে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফ্যানের সাথে ঝুলে দক্ষিণ সুরমা থানার কনস্টেবল বাসুদেব মল্লিকের স্ত্রী সানন্দা মল্লিক (৩০) আত্মহত্যা করেছেন। গতকাল রবিবার দুপুরে এয়ারপোর্ট থানা পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য সিলেট ওসমানী হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে।
তাদের সংসারে ১০ বছর ও ৩ বছরের দুটি কন্যা সন্তান রয়েছে। তবে কি কারণে তিনি আত্মহত্যা করেছেন সে বিষয়টি এখনও পরিষ্কার নয়। পুলিশ জানিয়েছে, তিনি মানসিক রোগে ভুগছিলেন। এ নিয়ে রহস্যের দেখা দিয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে এয়ারপোর্ট থানার এসআই লোকমান হোসেন বলেন, পুলিশ কনস্টেবল বাসুদেব মল্লিক ২ মেয়ে ও স্ত্রীকে নিয়ে বিমানবন্দর থানার মজুমদারি এলাকার ৮নং আবাসার ৪র্থ তলায় বসবাস করে আসছেন। গতকাল রবিবার ভোরে কোন এক সময় সানন্দা পরিবারের সবার অগোচরে বসত ঘরের ড্রইং রোমে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফ্যানের সাথে ঝুলে আত্মহত্যা করেন। তিনি আরও জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে সানন্দা মানসিক রোগে ভুগছিলেন। তার শরীরে কোন আঘাতের চিহ্ন নেই। ভোরের দিকে বিছানায় সানন্দাকে না পেয়ে তার স্বামী বসত ঘরের অন্যান্য রোমে তার খোঁজ করতে থাকেন। এসময় ড্রইং রোমের ফ্যানের সাথে তাকে ঝুলন্ত অবস্থা দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়া হয়।
এয়ারপোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহাদৎ হোসেন জানান, সানন্দা মল্লিক মানসিক রোগী হওয়ায় তার স্বামী ঘটনার এক মাস পূর্বে একজন ডাক্তারকে দেখান। গতকাল ভোরের দিকে বিছানায় সানন্দাকে না পেয়ে তার স্বামী বসত ঘরের অন্যান্য রোমে তার খোঁজ করতে থাকেন। এসময় ড্রইং রোমের ফ্যানের সাথে তাকে ঝুলন্ত অবস্থা দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেন তিনি। তিনি বলেন, স্ত্রীকে মানসিক রোগের ডাক্তারের প্রেসক্রিপসনও দেখেছি। এটা আত্মহত্যা, অন্য কিছু নয়। তিনি আরো বলেন, গতকাল ময়না তদন্ত শেষে নিহতের লাশ তার আত্মীয় স্বজনের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। নিহতের স্বামী বাসুদেব মল্লিক বাদি হয়ে এয়ারপোর্ট থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করেছেন।