মোঃ নাঈম ইসলাম
বসেছিনু সেদিন ভ্যালুয়া নদীর ঘাটে।
পাশেই দেখিনু,বৃদ্ধ করিম চাচা
ধরিতেছে মাছ-যাবে নাকি হাটে?
এত তাড়াহুড়ো কেনো?
কেনই বা এত ক্ষিপ্র গতি?
মৃদু স্বরে উত্তর আসিলো
ভাত দেয়না তার ছেলে মতি।
তাইতো ধরিতেছি মাছ
বিক্রি করে কিনিবো তরি-তরকারি।
কতই না অত্যাচার সহ্য করি
খেতে হয় ছেলের লাঠির বাড়ি।
ওমা সেকি!সে তো আপনার জোয়ান ছেলে
তার এই কাজ।
কত যতনে লালন করিলাম
বড় হয়ে গেছে সে আজ।
আমার কথা না হয় বাদই দিলাম
ভাবছি মতির মায়ের কথা৷
মতি আজ তাকে লাথি দিয়েছে,
দিয়েছে যে অনেক ব্যাথা।
কোলে পিঠে করে মানুষ করেছে
সহ্য করেছে অসহ্য যন্ত্রণা।
মতি আজ জোয়ান হয়েছে।
সবকিছুই আজ তার অজানা।
চাচা,বেশিক্ষন আর পানিতে থেকোনা
করি তোমার ভক্তি।
তুমি তো অনেক বৃদ্ধ মানুষ
নেইতো তোমার আগের মত শক্তি।
হ্যাঁ,উঠিতেছি আমি যাবো এখন হাটে।
আমার কি আর মুক্তি রয়েছে।
কালকে কাজ করতে হবে মাঠে।
তবুও আমি মতির জন্য দোয়া করি
আমার মতি যেনো থাকে অতি সুখে।
কখনো যেনো বিপদে না পরে।
থাকে যেনো হাসি মুখে।
শুনে মনটা ডুকরে কেঁদে ওঠে।
আর মনে মনে বলি।
সৃষ্টিকর্তা যেনো আমায় মতি না বানায়।
আমি যেনো সেই পথেই চলি।