বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালি জাতিকে গভীরভাবে ভালোবাসতেন বলেই এ জাতির জন্য অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক মুক্তির জন্য আজীবন সংগ্রাম করে গেছেন। তার সাহস, আপসহীনতা, দেশপ্রেম ও মানুষের জন্য ভালোবাসা এ গুণগুলোকে আমরা ধারণ ও বাস্তবায়ন করতে পারলেই বঙ্গবন্ধুর প্রতি পরিপূর্ণ সম্মান জানাতে পারবো। তিনি বলেন, জাতির পিতার সেই স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে নিরলস ভাবে কাজ করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাঙ্গালী জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র এবং অসাম্প্রদায়িক ধর্ম নিরপেক্ষ বাংলাদেশ নিরন্তর এগিয়ে যাবে এটিই হোক শোক দিবসের শপথ। তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর খুনিদের বিদেশের মাটি থেকে এনে এদেশের মাটিতে শাস্তি প্রদানের দাবি জানান। পাশাপাশি তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সহ সকল শাহাদাত বরণকারীদের রুহের মাগফেরাত কামনা করেন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুস্বাস্থ ও দীর্ঘায়ু কামনা করেন।
তিনি ১৯ আগষ্ট বুধবার বিকেলে নগরীর বঙ্গবীর ওসমানী জাদুঘরস্থ প্রাঙ্গণে সম্মিলিত নাগরিক পরিষদের উদ্যোগে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
সম্মিলিত নাগরিক পরিষদের সভাপতি মো. বেলাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ফাইয়াজ হোসেন ফরহাদের পরিচালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, সিলেট জেলা বারের এডিশনাল পিপি এডভোকেট শামসুল ইসলাম, ফুলকলি ফুড প্রোডাক্টস লি. এর ডিজিএম জসিম উদ্দিন খন্দকার, দৈনিক খবরপত্রের ব্যুরো প্রধান এম এ. মতিন, ওসমানী যাদুঘরের সহকারি কীপার মো. জিয়ারত হোসেন খান, বাংলাদেশ জাতীয় যুব উন্নয়ন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মনোরঞ্জন তালুকদার, পেশাজীবী পরিষদের সভাপতি হাকিম ছাদুল্লাহ বাচ্চু, হাওর উন্নয়ন পরিষদের সভাপতি সুরঞ্জিত বর্মন, দিরাই অনলাইন প্রেসক্লাবের মোজাহিদ সরকার।
বক্তব্য রাখেন হাওর উন্নয়ন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক খালেদ মিয়া, জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ইউসুফ সেলু, সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাকিল আহমদ, আশিকুর রহমান রব্বানী, মামুন চৌধুরী, মো. শফিক মিয়া প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি