সিলেট-তামাবিল সড়কে গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে ডাকা অনির্দিষ্টকালের পণ্যবাহী সকল পরিবহন ধর্মঘটকে প্রত্যাখ্যান করেছেন সিলেট জেলা ট্রাক কাভার্ড ভ্যান মালিক সমিতি।
গত সোমবার রাতে এ বিষয়ে সংগঠনের এক জরুরি সভায় নেতৃবৃন্দ এ ধর্মঘটের সাথে তাদের কোন সম্পৃক্ততা এবং এ বিষয়ে নেতৃবৃন্দ কোনভাবে বোধগম্য নয় বলে তারা এ ধর্মঘট প্রত্যাখ্যান করেন।
সিলেট জেলা ট্রাক কাভার্ড ভ্যান মালিক সমিতির সভাপতি সৈয়দ মকসুদ আহমদ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় নেতৃবৃন্দ বলেন, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির অন্তর্ভুক্ত সিলট জেলা ট্রাক কাভার্ডভ্যান মালিক সমিতি সিলেট জেলার সকল ট্রাক কাভার্ড ভ্যান মালিকদের প্রতিনিধিত্বশীল সংগঠন হিসেবে মালিক ও শ্রমিকদের সব ধরনের স্বার্থ সংরক্ষণে কাজ করে আসছে। কিন্তু এ বিষয়ে কোন ধরনের আলোচনা বা সমন্বয় ছাড়া হঠাৎ করে সিলেটের গুরুত্বপূর্ণ সিলেট-তামাবিল সড়কে ২০১২ সালে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক বাতিল কৃত তথা কথিত অস্তিত্বহীন সংগঠন জেলা ট্রাক মালিক গ্র“প ও একটি শ্রমিক সংগঠনের ডাকা ধর্মঘট সিলেটের পরিবহন সেক্টরকে অস্থিতিশীল করার অপচেষ্টা ছাড়া কিছু নয়। তারা বলেন, বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে এমনিতেই পরিবহন মালিক ও শ্রমিকরা চরম আর্থিক দূরাবস্থার মধ্যে দিনাতিপাত করছে, এমন মুহূর্তে এধরণের হঠকারী কর্মসূচী মরার উপর খড়ার ঘা বলে মন্তব্য করেন তারা।
সিলেট জেলা ট্রাক কাভার্ড ভ্যান মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দ বলেন, একটি কুচক্রীমহল সিলেটে পরিবহন সেক্টরে একের পর এক অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির মাধ্যমে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের ষড়যন্ত্র লিপ্ত রয়েছে। এসব অপতৎপরতার বিরুদ্ধে সিলেটের পরিবহন মালিক ও শ্রমিক সহ সবাইকে সজাগ ও সতর্ক আহবান জানায় সংগঠনটি।
সভায় বক্তব্য রাখেন সিলেট জেলা ট্রাক কাভার্ড ভ্যান মালিক সমিতির কার্যকরী সহসভাপতি শাহ নুরুর রহমান, সহ সভাপতি মুজিবুর রহমান, মোঃ মছব্বির আলী, শমসের মর্তুজা, সাধারণ সম্পাদক মইনুল হক, সহ সাধারণ সম্পাদক এমরান চৌধুরী, কয়ছর আলী জালালি, ফয়জুল হক, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ শাহজাহান খান, অর্থ সম্পাদক হাজী শায়েস্তা মিয়া, দফতর সম্পাদক মুহিত মিয়া, প্রচার সম্পাদক ফখরুল ইসলাম ফখর, নির্বাহী সদস্য সৈয়দ রাজিব আহমদ প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি