বিয়ানীবাজার থেকে সংবাদদাতা :
ভারতে গরু চুরির অভিযোগে স্থানীয়দের গণপিটুনিতে নিহত হয়েছিল মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার যুবক রনজিত রিকমন। গত মঙ্গলবার তাকে ভারত সীমান্ত এলাকার অধিবাসীরা পিটিয়ে হত্যা করে। ৪ দিন পর শুক্রবার বিকালে বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিজিবি) কাছে লাশ হস্তান্তর করে বিএসএফ। বিয়ানীবাজারের শেওলা স্থলবন্দরের নোম্যান্সল্যান্ডে দুই দেশের সীমান্তরক্ষা বাহিনীর মধ্যে সীমান্ত আইন অনুযায়ী লাশ হস্তান্তর করা হয়।
নিহত যুবক মৌলভীবাজারের জুড়ি উপজেলার বাসিন্দা রসিক লাল রিকমনের ছেলে রনজিত রিকমন। লাশ নিতে রিকমনের স্বজন ও পরিবারের সদস্যরা শেওলা স্থল বন্দরে ছুটে আসেন। সন্ধ্যায় বিজিবির কাছ থেকে লাশ বুঝে পেয়ে একটি এ্যাম্বুলেন্সে করে স্বজনরা জুড়ীর উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন।
লাশ হস্তান্তর প্রক্রিয়ায় উপস্থিত ছিলেন ৫২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্ণেল গাজী শহিদুল্লাহসহ রাজস্ব ও ইমিগেশন কর্মকর্তা এবং বিয়ানীবাজার থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক আবুল কালাম।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার লাশ হস্তান্তর করতে বিএসএফ শেওলা স্থল বন্দরের নোম্যান্সল্যান্ডে লাশ নিয়ে আসে। এ সময় বিএসএফের দায়িত্বশীলরা ময়না তদন্ত প্রতিবেদন এবং ভারতের আসাম প্রদেশের সংশ্লিষ্ট থানায় দায়ের করা মামলার কাগজসসহ লাশ হস্তান্তর প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে গেলে বিজিবি করোনা পরীক্ষার সনদ চাইলে তা দেখাতে পারেনি বিএসএফ। ফলে বিজিবি করোনা সনদ ছাড়া লাশ গ্রহণ না করায় বৃহস্পতিবার লাশ হস্তান্তর প্রক্রিয়া থেমে গিয়েছিলো। শুক্রবার করোনা পরীক্ষার সনদ হাতে পাওয়ার পর লাশ বুঝে নেন বিজিবির দায়িত্বশীলরা।