দেশে করোনায় মৃত্যু সংখ্যা কিছুটা কমলেও শনাক্ত কম নয়। সাধারণ মানুষ ছাড়াও করোনায় আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসায় নিয়োজিত চিকিৎসক ও তাদের পরিবার পরিজনসহ স্বাস্থ্যকর্মী আক্রান্তের সংখ্যা কমছে না।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে যদি ও ঘরে থাকার বিধান, বাহিরে মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক, এক মিটার দূরত্ব বজায় রেখে অবস্থান করা, বাহির থেকে ঘরে ফিরে সাবান পানিতে হাত ধোয়ার নিয়মসহ সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করার বিধান থাকলেও তা মানা হচ্ছে না। তাই সর্বত্র করোনার উপসর্গ ছড়িয়ে পড়ার আশংকা বিরাজ করছে।
এদিকে করোনা সংক্রমণ আক্রান্ত রোগীরা ব্যবহৃত সুরক্ষা সামগ্রীর বড় একটি অংশ মাস্ক, হ্যান্ড, গ্লাভস, ফেস শিল্ড, সুকভার সহ বিভিন্ন ধরনের দ্রব্য বাসা-বাড়ীর আঙ্গিনায়, ময়লা ফেলার খোলা পাত্রে, সড়ক-ফুটপাতে, গর্ত, খাল-নালায়, এমনকি উন্মুক্ত জায়গা সহ যেখানে-সেখানে ফেলে দিয়ে জনস্বাস্থ্যকে ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলছে। এতে করে করোনা ছড়িয়ে পড়ার আশংকা আরো বেশি। ব্যবহৃত এসব সামগ্রী ধ্বংসের সুব্যবস্থা করতে ব্যর্থ হলে ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি হওয়ার আশংকা উড়িয়ে দেয়া যায় না। নগরী ও শহরতলীর সর্বত্র করোনা সংক্রমণে ব্যবহৃত সামগ্রী বাসা-বাড়ীর সাধারণ বর্জ্যরে সাথে মিশ্রিত হয়ে একাকার হয়ে পড়ছে।
অপরদিকে দেশব্যাপী মানহীন করোনা সুরক্ষা সামগ্রী ভরে গেলে ও প্রশাসনের পদক্ষেপের প্রেক্ষিতে মানহীন মাস্ক ও পিপিই’র ব্যবহার কম দেখা যাচ্ছে। মহামারী করোনা উপসর্গ থেকে সাময়িক রক্ষায় উন্নতমানের মাস্ক সরবরাহের ব্যবস্থা করতে সংশ্লিষ্ট বিভাগ এগিয়ে আসা খুবই প্রয়োজন ।
বিশেষজ্ঞ মহলের মতে করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে সুপরিকল্পিত পরিকল্পনা ভিত্তিক কার্যকারী পদক্ষেপ নিতে সংশ্লিষ্ট বিভাগ এগিয়ে আসার বিকল্প নেই।