সড়ক দুর্ঘটনা রোধে পদক্ষেপ নিন

16

দেশে সড়ক দুর্ঘটনা বৃদ্ধিতে জনমনে উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা ও আতংক বিরাজ করছে। সড়ক দুর্ঘটনা রোধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া খুবই জরুরী।
বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, গত ঈদুল আযহার সময়ে সিলেটসহ সারাদেশে সড়ক দুর্ঘটনা সহ নৌ-দুর্ঘটনা বৃদ্ধি পাওয়ায় জনমনে আতংক দেখা দিয়েছে। এত অঘটনের মধ্যে দিয়ে সাধারণ যাত্রী সাধারণকে যেমন নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না তেমনি, যানবাহনের চালকদেরকে শৃংখলায় ফিরিয়ে আনা সম্ভব হচ্ছে না, ফলে যাত্রী সাধারণের চলাচল চরম হুমকির সম্মুখীন। সড়ক ও নৌ-পথে যাত্রীবাহী যানবাহন চলাচলে নিয়ন্ত্রণ আনতে সংশ্লিষ্ট বিভাগের উদ্যোগ গ্রহণ করার বিকল্প নেই।
সূত্র মতে গত ঈদুল আযহার মাত্র তের দিনে যে, দেশে যেভাবে সড়ক দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়েছে, তাতে সচেতন মহলকে ভাবিয়ে তুলেছে। এ তের দিনে সারা দেশে ২০১টি সড়ক দুর্ঘটনায় ২৪২ জনের প্রাণহানী ঘটেছে এবং আহত হয়েছেন ৩৩১ জনের ও বেশী। সড়ক দুর্ঘটনা ছাড়াও নৌ-দুর্ঘটনায় ৭৪ জনের মৃত্যু ঘটেছে এবং ১৭ জনের নিখোঁজ হওয়ার ঘটনা ছাড়া ও ৩৯ জন আহত হওয়ার ঘটনা জাতির জন্য সুখবর নয়।
অনেকের মতে করোণা মহামারির কারণে দেশের প্রতিটি সড়কে গণপরিবহনের সংখ্যা কম থাকলেও অন্যান্যে যানবাহনের সংখ্যা বেশী থাকলেও ব্যক্তি মালিকানা চালিত যানবাহনও ছোট-ছোট যানবাহনের আধিপাত্য ছিল মাত্রারিক্ত ও বেপরোয়া। ছোট-বড় যানবাহনের মধ্যে ছিল তীব্র প্রতিযোগিতা। সড়ক সমূহের অবস্থা ও নড়ে-বড়ে, ভাঙ্গা-ছোড়া, অত্যাধিক বৃষ্টির ফলে যেখানে-সেখানে অসংখ্যক গর্তের সৃষ্টির কারণে অহরহ দুর্ঘটনা ঘটছে।
সিলেটসহ সারাদেশে সড়ক দুর্ঘটনা রোধে সড়ক সমূহে শৃংখলা ফিরিয়ে আনতে সড়ক সমূহে সড়ক আইন পূর্ণমাত্রায় বলবৎ করতে হবে। যানবাহন চালকদেরকে সড়কে চলার নিয়মনীতি মানতে বাধ্য করতে হবে। প্রতিটি সড়ক সংস্কার করতে হবে। যাতে যানবাহন চলাচলের নীতি বহির্ভূত যানবাহনের চালকদেরকে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।
সড়ক দুর্ঘটনা রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করা হউক, যা বিজ্ঞ মহলের প্রত্যাশা।