কাজিরবাজার ডেস্ক :
ভারতে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ১৫ লাখ ছাড়িয়ে গিয়েছে। শুধু একদিনেই সংক্রমিত হয়েছেন ৪৮ হাজার ৫১৩ জন।
বুধবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় বলি হয়েছেন আরও ৭৬৮ জন। এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৩৪ হাজার ১৯৩ জনের। এক্টিভ কেস রয়েছে ৫ লাখ ৯ হাজার ৪৪৭টি। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গিয়েছেন ৯ লাখ ৮৮ হাজার ২৯ জন।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী সুস্থতার হার ৬৪.২৪ শতাংশ। মৃত্যু হার ২.২৩ শতাংশ। শীর্ষ স্থানে থাকা মহারাষ্ট্রে সংক্রমিতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১ লাখ ৪৮ হাজার ৯০৫। মৃত্যু হয়েছে ১৩ হাজার ৬৫৬ জনের। তবে মুম্বাইয়ে একদিনে সংক্রমিতের হার কমেছে। অন্যান্য রাজ্যগুলির মধ্যে তামিলনাড়ুতে ২ লাখ ২৭ হাজার ৬৮৮, দিল্লিতে ১ লাখ ৩২ হাজার ২৭৫ এবং কর্নাটকে ১ লাখ ১ হাজার ৪৬৫ জনের শরীরে করোনার উপসর্গ পাওয়া গিয়েছে।
এদিকে করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সপ্তাহে দুদিন লকডাউনে মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠক করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সপ্তাহে দুদিনের যে তালিকা দিয়েছিলেন, রাতে তা কিছুটা পরিবর্তন করা হয়েছে। পূর্ব ঘোষণা মতো, আগষ্ট মাসে লকডাউন হওয়ার কথা ছিল ২ ও ৫ আগষ্ট, ৮ ও ৯ আগষ্ট, ১৬ ও ১৭ আগষ্ট, ২২ ও ২৩ আগষ্ট এবং ২৯ ও ৩০ আগষ্ট। কিন্তু মঙ্গলবার রাতেই ট্যুইট করে রাজ্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক জানিয়েছে, ধার্মিক অনুষ্ঠানের কথা মাথায় রেখে, সাধারণ মানুষের ভাবাবেগের বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে ২ ও ৯ আগষ্ট হচ্ছে না লকডাউন।
এই দুদিনের পরিবর্তে কোন কোন তারিখে পূর্ণ লকডাউন হবে বা আদৌ হবে কি না, তা রাত পর্যন্ত জানানো হয়নি। বাকি দিনগুলি অপরিবর্তীত থাকছে। বিশ্ব জনজাতি দিবস থাকায় বাদ গিয়েছে ৯ আগষ্ট। ১৫ আগষ্ট শনিবার হলেও সে দিন পূর্ণ লকডাউন হবে না। তার পরিবর্তে ১৬ এবং ১৭ আগষ্ট যথাক্রমে রবি এবং সোমবার থাকবে লকডাউন। ওই সপ্তাহে গণেশ পুজো থাকায় পরবর্তী লকডাউনের দিন ২৩ এবং ২৪ আগষ্ট যথাক্রমে রবি এবং সোমবার। সেই সপ্তাহে আবার মহরম থাকায় পরবর্তী লকডাউনের দিন ৩১ আগষ্ট, সোমবার।
প্রশাসনের একাংশের মতে, সপ্তাহান্তে লকডাউন হলে দৈনিক রুজি-রুটি জোগাড়ের কাজে অসুবিধা হবে না। আবার সপ্তাহান্তে অকারণে বাইরে বেরোনোর হিড়িকও কমবে।
এর মধ্যে আজ, পূর্বঘোষিত সার্বিক লকডাউন পালিত হচ্ছে রাজ্যে। কলকাতাসহ রাজ্যের থানাগুলিকে নিজেদের এলাকায় কড়া নজর রাখতে বলা হয়েছে, যাতে বিধি ভেঙে কেউ দোকান খুলতে বা বাইরে বেরোতে চেষ্টা না করেন।