মৌলভীবাজার থেকে সংবাদদাতা :
মৌলভীবাজারের ইমামবাজার সিএনজি অটোরিক্সা স্ট্যান্ডের এক সিএনজি চালককে কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষরা।
মঙ্গলবার দুপুরে সদর উপজেলার ইমামবাজার এলাকায় এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
প্রত্যক্ষদশী সূত্র জানা যায়, ইমাম বাজার সিএনজি অটোরিক্সা স্ট্যান্ডে দুটি গ্র“পের সৃষ্টি হয়। এনিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে রিপন গ্র“প ও কমরু গ্র“পের দন্ধ চলছিলো। একগ্র“প আরেক গ্র“পকে কোনঠাসা করে আধিপত্য বিস্তারের প্রতিযোগিতায় ছিলো। একপর্যায়ে ঘটনার দিন কমরু গ্র“পের লোকেরা স্ট্যান্ড অবস্থান নেয়া রিপন গ্র“পের এক চালকের উপর দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হামলা চালায়। এতে সে মারা যায়। পরে ইমামবাজার এলাকায় উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে।
নিহত সিএনজি চালকের নাম ফজলু মিয়া (৩০)। সে কালাপঙর ইউনিয়নের কালিয়ারগাও গ্রামের খানের মিয়ার ছেলে।
আহতরা হলেন- জেসমিন (২৬), নজরুল (৩৫), ছনর আলী (৪০), আমিনুল ইসলাম (২৮), শামিম (৩৮), শওকত আহমদ (৪০), সাইফুর রহমান (৩৫), আল আমীন (২৬), ফজল মিয়া (৫৯), নাজমা বেগম (৩৩), মো. মতিন (২০), তাজুল ইসলাম (৪৫)।
নিহতের বড় ভাই খছরো মিয়া বলেন, ঘটনার কিছু সময় আগে আমি শুনেছি যে স্ট্যান্ডে মারামারি হবে। বিষয়টি কালাপুর ইউনিয়নের মেম্বারকে অবগত করেছি কিন্তু সমাধানের আগের তারা নির্মমভাবে আমার ভাইকেই হত্যা করলো।
নিহত ফজলু পরিবারের দুইভাই ও দুইবোনের মধ্যে নিহত ফজলু সবার ছোট। তার এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে বলে পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে।
এ ঘটনায় দুইজনকে আটক করেছে পুলিশ। আটকৃতরা হলেন- গিয়াসনগর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের সদস্য মো. সালেক মিয়া ও ইলিয়াছ মিয়া (২৮)।
বিষয়টি নিশ্চিত করে জেলা সিএনজি পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সেলিম আহমদ বলেন, আমরা এঘটনায় সুষ্ঠু বিচার চাই। যতদিন না পর্যন্ত বিচার হবে এই স্ট্যান্ডে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট চলবে।
মৌলভীবাজার মডেল থানার ওসি আলমগীর হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এবং ঘটনার সাথে জড়িত দুই জনকে আটক করা হয়েছে। মৃতদেহ ময়না তদন্তের জন্য মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।