বিশ্বম্ভরপুর থেকে সংবাদদাতা :
বিশ্বম্ভরপুর উপজেলায় খুন হওয়া সুকেশ দাসের পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে বলে জনা গেছে। সোমবার উপজেলার পলাশ ইউনিয়নের প্যারীনগর গ্রামে সুকেশ দাসের পরিবারের খবর নিতে গিয়ে পাওয়া যায় এমন তথ্য। খুন হওয়া সুকেশের মা মৃত মুক্তিযোদ্ধা বীরেন্দ্র দাসের স্ত্রী রায় মনি দাস (৬০) কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন “বাবারে আমার ছেলে খুন হওয়ার পর আমি বাদী য়ে মামলা দেয়ার কারনে আমাকে ও পরিবারের অন্যান্য সদস্য সহ সাক্ষীদেরকে আসামীরা ভয়ভীতি প্রদর্শন সহ বিভিন্ন তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সাক্ষী সহ আমাদের দরিদ্র পরিবারকে নির্যাতন করে চলছে তারা” জানা যায়, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সুকেশ দাশকে খুন করার পর ২০১৩ সালের ১৩ ডিসেম্বর বিশ্বম্ভরপুর থানায় প্রফুল্ল বিশ্বাস (৪২), কুল চাঁন বিশ্বাস (৩৫), শাহিন মিয়া (২৮), নজরুল ইসলাম (২৬), রশিদ মিয়া (২৫), আব্দুল খালেক (৩০) সহ মোট ৬জনকে বিবাদী করে মামলা রুজু করা হয়। মামলায় রাকেশ দাস (৩২)সহ স্থানীয় বেশ ক’জনকে সাক্ষী করা হয়। বাদীর অভিযোগ মোতাবেক ৭ নভেম্বর রাকেশকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে বাদীর বিপক্ষেশ বলার জন্য বললে; রাকেশ প্রতিবাদ করায় তাকে মারধর করা হয়। এছাড়া কোন কোন সাক্ষীকে তারা হুমকি দিয়ে চলছে বলে জানান সাক্ষীরা। এছাড়া সুকেশের পরিবারের পুরুষ সদস্য না থাকায় মামলার আসামী বখাটেরা তার স্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে বাড়ীর পাশে এসে শীস দিয়ে মশকারা করে বলে জানান তার স্ত্রী রিপন রানী মাস্য দাস তারা প্রশাসনের নিকট তদন্তপূর্বক বিচারের দাবী জানান।