প্রাকৃতিক দুর্যোগ বন্যার অজুহাত দেখিয়ে এক ধরনের সবজি ব্যবসায়িরা শাক-সবজির বাজারে পরিকল্পিত ভাবে দাম বৃদ্ধি করছে। ফলে ক্রেতা সাধারণের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। দেশের এ ক্রান্তিলগ্নে সাধারণত: শাক-সবজির মূল্য বৃদ্ধি মেনে নেয়া যাচ্ছে না।
দেশের মানুষ করোনা ভাইরাসের কারণে ঘরবন্দী, এর মধ্যে প্রাকৃতিক দুর্যোগ বন্যায় জলবন্দী এ মুহূর্তে কৃষি পণ্যের মূল্যে বৃদ্ধি সমুচিত নয়। যেখানে পণ্য পরিবহন ও সরবরাহ অব্যাহত রহেছে, সেখানে বন্যার অজুহাত দেখিয়ে মূল্য বৃদ্ধি করা রহস্যজনক।
ক্ষুদ্র ব্যবসায়িরা বাজারে বেশীর ভাগ সবজির মূল্য বাড়িয়ে বিক্রি করছে। এ সব সবজির মধ্যে কাঁচা-মরিচ, টেমেটো, ঢেড়ঁস, মিষ্টি কুমড়া, বেগুন, আলু, বরবটি, কাঁকরুল, করলা, মুলা, ঝিঙ্গা, চিচিঙ্গা, কচুর-লতা, কাঁচ-কলা, ধনিয়া পাতাসহ সবধরনের শাক-সবজির মূল্যে বৃদ্ধি ছাড়া ও পিঁয়াজ, রসুন, আদা, তেজ-পাতা সহ সকল প্রকার মসলা জাতীয় পণ্যের মূল্যে বৃদ্ধি হওয়ায় ক্রেতা সাধারণের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
সবজি ছাড়া ও ডিম অধিক হারে মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। সাধারণ কম আয়ের ক্রেতারা ডিম ক্রয়ের ধারে-কাছে যাওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে।
ঈদুল-আযহাকে সামনে রেখে অসাধু ব্যবসায়িরা পরিকল্পিত ভাবে সাধারণ ক্রেতাদের কাছ থেকে অধিক হারে মূল্য হাতিয়ে নেয়ার ফন্দি ফিকির করছে। যা কাম্য নয়।
দেশের এ ক্রান্তিলগ্নে সাধারণ মানুষ কর্মহীন, একদিকে প্রাকৃতিক দুর্যোগ বন্যা আর অন্য দিকে করোনা নামক মহামারির প্রেক্ষিতে মানুষ চরম হতাশায় জীবন যাপন করছে। তাই সাধারণ মানুষের কল্যাণার্থে বাজার নিয়ন্ত্রণ করা জরুরী বলে বিজ্ঞ মহল মনে করেন।