স্টাফ রিপোর্টার :
সিলেটে গত বছরের নভেম্বরে সুরমা নদীর তীর থেকে উদ্ধার হওয়া গৃহবধূ কুলসুমা আক্তার ফাতেমা খুনের রহস্য ৭ মাস পর উদঘাটন করেছে কোতোয়ালী মডেল থানা পুলিশ। এ খুুনের দায়েরকৃত মামলার প্রধান আসামি মো. ইয়াছিন মিয়াকে (২৫) ঢাকার মীরপুর থেকে গ্রেফতারের পর আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছে। ধৃত ইয়াছিন আলী নগরীর কালীঘাট (আমজাদ আলী রোড) এলাকার জিনু মিয়ার পুত্র। সে ওই গৃহবধূকে সেদিন হত্যা করে নগরীর সুরমা নদীরে তীরে ফেলে যায় বলে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) জ্যোতির্ময় সরকার পিপিএম।
তিনি জানান, গত বছরের ২৪ নভেম্বর রাতে নগরীরর তোপখানা এলাকায় সড়ক ও জনপদ বিভাগের অফিসের সামনে সুরমা নদীর তীরে ফুটপাতের রেলিংয়ের নিচে মোছা. কুলসুমা আক্তার ফাতেমা নামের এক মহিলার লাশ পাওয়া যায়। পরে এই ঘটনায় এসআই মো. দেলোয়ার হোসেন বাদি হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামির বিরুদ্ধে গত বছরের ২০১৯ সালের ২৬ নভেম্বর সিলেট কোতোয়ালি মডেল থানায় এজাহার দাখিল করেন। মামলা নং-৬২। পরবর্তীতে চাঞ্চল্যকর এ হত্যা মামলার ঘটনায় উপ-পুলিশ কমিশনার (উত্তর) মো. আজবাহার আলী শেখ পিপিএম-এর নির্দেশনায় সিলেট কোতোয়ালি মডেল থানার একটি চৌকস দল গত ১৬ জুলাই প্রধান আসামি মো. ইয়াছিন মিয়াকে ঢাকার মিরপুর-৬ এলাকা থেকে গ্রেফতার করে। এদিকে, গত শুক্রবার (১৭ জুলাই/২০২০) আদালতে মো. ইয়াছিন মিয়া মোছা. কুলসুমা আক্তার ফাতেমাকে ঘটনাস্থলে হত্যা করে ফেলে রেখে পালিয়ে যাওয়ার কথা স্বীকার করে। পরে ইয়াছিন আলীকে জেলহাজতে পাঠিয়েছেন আদালত।
এ ব্যাপারে গতকাল বিকেল এসএমপি কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সোহেল মিয়া বলেন, মোছা. কুলসুমা আক্তার ফাতেমা খুনের ঘটনায় গ্রেফতারকৃত মো: ইয়াছিন মিয়াকে ৭ মাস পর ঢাকা মীরপুর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সে শুক্রবার সিলেটের সিএমএম আদালতে ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছে। ইয়াছিন আদালতকে জানিয়েছে কুলসুমার সাথে তার পরকিয়া প্রেমের সর্ম্পক ছিল।