আসন্ন পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে ঐতিহ্যবাহী সিলেট সরকারি আলিয়া মাদরাসা মাঠে পশুর হাট বসানোর সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়েছেন সিলেট মহানগর শিবির নেতৃবৃন্দ।
সোমবার (১৩ জুলাই) এক বিবৃতিতে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদ সদস্য ও সিলেট মহানগরী সভাপতি মামুন হোসাইন ও সেক্রেটারি সাইফুল ইসলাম বলেন- সিলেট জেলা প্রশাসন ও সিলেট সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে সিলেট নগরীর ৩টি স্থানে কোরবানির পশুর হাট বসানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। আমরা জানতে পেরেছি ঐতিহ্যবাহী সিলেট সরকারি আলিয়া মাদরাসা মাঠে অস্থায়ী পশুর হাট স্থাপনে ইজারা প্রদানের জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, সিলেট অঞ্চলের কোটি মানুষের চিকিৎসার জন্য করোনা ডেডিকেটেড শহীদ শামসুদ্দিন হাসপাতালের পাশেই সরকারি আলিয়া মাদরাসা মাঠ। এছাড়া সিলেট নগরীর কেন্দ্রস্থল চৌহাট্টা ও আশপাশের এলাকায় ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ফার্মেসি, শাহজালাল (রহ.) দরগা ও মাদ্রাসা, আলিয়া মাদ্রাসা ক্যাম্পাস ছাড়াও আবাসিক এলাকা রয়েছে। মহামারি করোনা ভাইরাসের এ পরিস্থিতিতে জনবসতিপূর্ণ এলাকা ছেড়ে কোরবানির পশুর হাট বসানোর ব্যাপারে সরকারের নির্দেশনা রয়েছে। এ অবস্থায় মাদরাসা মাঠে পশুর হাট স্থাপনের সিদ্ধান্তে জনগণের স্বাস্থ্য সুরক্ষা উপেক্ষিত হয়েছে। করোনা আইসোলেশন সেন্টারের পাশের মাঠে কোরবানির পশুর হাট বসানোর স্পর্শকাতর এ সিদ্ধান্তে আমরা বিস্মিত।
নেতৃবৃন্দ আরো বলেন- আধ্যাত্মিক রাজধানী সিলেটের আলিয়া মাদরাসা মাঠে বিভিন্ন সংগঠনের উদ্যোগে প্রতিবছর তাফসীরুল কুরআন মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। দীর্ঘদিন ধরে এই মাঠে দুই ঈদের জামায়াতও অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। এছাড়া আলিয়া মাদরাসা মাঠটিতে নিয়মিত জানাযার নামাজও অনুষ্ঠিত হয়। এদিক থেকে আলিয়া মাদরাসা মাঠের পবিত্রতা রক্ষার বিষয়টিও জড়িত।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, সিলেট শহরে পর্যাপ্ত খেলার মাঠ না থাকায় তরুণরা খেলাধূলা করতে পারে না। এ মাঠে কোরবানির পশুর হাট হলে খেলার মাঠটির উপযোগিতা বিনষ্ট হবে। তাছাড়া ২০১৮ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি মন্ত্রী পরিষদ বিভাগ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের খেলার মাঠ খেলাধুলার উপযোগী করে গড়ে তোলার জন্য নির্দেশনা (অনুশাসন) জারি করে। এছাড়া নিয়মানুসারে বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহারের জন্য কখনো কোনো প্রতিষ্ঠানকে মাঠের অনুমোদন দেয়া যায় না। এ অবস্থায় খেলার মাঠটি ভিন্ন কাজে ব্যবহার হবে নীতিবহির্ভূত।
এসব বিষয় বিবেচনায় নিয়ে শহরতলীর কোনো স্থানে অস্থায়ী পশুর হাটটি স্থানান্তর করা প্রয়োজন। আমরা অবিলম্বে জনবিরোধেী এ সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের জন্য সিলেট জেলা প্রশাসন ও সিটি করপোরেশনের নিকট দাবি জানাই। বিজ্ঞপ্তি