২০ দিনের মাথায় স্পেনে ৭৩টি স্থানে নতুন করে দেখা দিয়েছে করোনা ভাইরাস

11

কবির আল মাহমুদ, স্পেন থেকে :
স্পেনে জরুরি অবস্থা উঠিয়ে নেওয়ার ২০ দিনের মাতায় নতুন করে আবারও সক্রিয় হয়ে ওঠেছে করোনা ভাইরাস। দেশটির ৭৩টি স্থানে মরণব্যাধি করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ায় অনেকের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। দেশটির কাতালোনিয়া প্রদেশের (Lelida, Lugo (Mariña) শহর বেশি আশঙ্কার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। নতুন করে মহামারি ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় প্রস্তুতি নিচ্ছে স্পেনের স্বাস্থ্যবিভাগ। পরিস্থিতি বিবেচনায় স্পেনের কিছু কিছু প্রদেশে মহাসড়ক, পার্ক, বিপণন কেন্দ্র ও রেস্টুরেন্টসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে আরো নিয়ন্ত্রিত আইনের বা বন্ধের ঘোষণাও আসতে পারে। ভাইরাস নতুন করে সক্রিয় হয়েছে রাজধানী মাদ্রিদ, তারাগোনা, নাভাররা, আন্দালুসিয়া, এস্কাদি, ভ্যালেন্সিয়া শহরে।
স্পেনের স্বাস্থবিভাগ জানিয়েছে, গত ২৪ ঘন্টায় (৯ জুলাই, বৃহস্পতিবার) নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে ২৫৭ জন। এই ২৪ ঘন্টায় মারা গিয়েছে ৫ জন।
স্পেনের স্থানীয় সংবাদমাধ্যম এল মুন্দের তথ্য অনুযায়ী, গত এক সপ্তাহে আক্রান্ত হয়েছে ২ হাজার ৪৯১জন। মৃত্যুবরণ করেছে ১০ জন। এদের মধ্যে কাস্তিয়া ই লিওনে ৪জন, মাদ্রিদে ৩জন, আন্দালুসিয়াতে ২জন ও আরাগোনে ১ জন মৃত্যুবরণ করেছে।
গত (৯ জুলাই, বৃহস্পতিবার) একদিনে আক্রান্তের মধ্যে কাতালোনিয়া প্রদেশে আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। কাতালোনিয়ায় গত ২৪ ঘন্টায় আক্রান্ত হয়েছে ১৫৫জন, আরাগনে ৬৫জন।
সব মিলিয়ে করোনামহামারীতে স্পেনে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ লক্ষ ৫৩ হাজার ৫৬জন। আর এখন পর্যন্ত মৃত্যুবরণ করেছে ২৮ হাজার ৪০১জন।
কাতালোনিয়ার নতুন সংক্রমনের হার বাড়তি থাকায়, পরিস্থিতি বিবেচনা করে বৃহস্পতিবার (৯জুলাই) থেকে পাবলিক প্লেসে মাস্ক পরা পুরোপুরি বাধ্যতামূলক করে দেয়া হয়েছে এবং আইন অমান্য করলে ১০০ ইউরো জরিমানা নির্ধারণ করা হয়েছে।
রাজধানী মাদ্রিদের বাঁড়াখাঁস বিমানবন্দরে আসা দুই জন পর্যটক যাত্রীর শরীরে (৯ জুলাই, বৃহস্পতিবার) চঈজ পরীক্ষায় করোনা পজেটিভ ধরা পড়েছে। স্পেনের স্বাস্থ্যবিভাগ জানিয়েছে, গত সপ্তাহ থেকে আগন্তুত যাত্রীদের মধ্যে অন্তত ৩২ জনের শরীরে করোনা পজেটিভ ধরা পড়েছে। এ অবস্থায় বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ আরো কঠোরভাবে স্পেনে প্রবেশ করা যাত্রীদের নিয়ন্ত্রণ করার ঘোষণা দিয়েছে।
ইংল্যান্ড, রাশিয়া, অস্ট্রেলিয়া, ভারতসহ প্রায় ১৩০টি দেশে স্প্যানিশদের ভ্রমণ করার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশে করোনা প্রাদুর্ভাব চরমে থাকা সত্ত্বেও লিস্টে নিষেধাজ্ঞার তালিকায় বাংলাদেশের নাম দেখা যায়নি!
নতুন আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রস্তুতি নিচ্ছে স্পেনের স্বাস্থ্যবিভাগ। তবে পুনরায় লকডাউন দেওয়ার মতো এখনো কোনো ঘোষণা পাওয়া যায়নি।