সিলেটের আইনজীবীদের সাথে ভার্চুয়াল আলোচনায় আইনমন্ত্রী ॥ জুনিয়র আইনজীবীদের ঋণ দেয়া যায় কিনা সে চেষ্টায় আছি

23

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, বিশেষ ও অনাকাক্সিক্ষত পরিস্থিতির জন্য ভার্চুয়াল আদালত চালু থাকবে। ১৯৯৬ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ডিজিটাল বাংলাদেশের কাজ শুরু করেছিলেন। তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ অনেক দূর এগিয়ে গেছে। ভার্চুয়াল আদালত চালু করার জন্য আমরা প্রশংসিত। রবিবার (৫ জুলাই) বিকেলে সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির নেতৃবৃন্দের সাথে এক ভার্চুয়াল আলোচনায় এ কথা বলেন তিনি।
জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মোঃ ফজলুল হক সেলিম এর সঞ্চলনায় আয়োজিত ভার্চুয়াল আলোচনায় সভাপতিত্ব করেন সিলেট জেলা বারের সহ-সভাপতি-১ এডভোকেট আব্দুল হাই কাইয়ুম।
এ সময় আদালত কর্তৃক ভার্চুয়াল আদালত আইনটিকে অধ্যাদেশ করার প্রেক্ষাপট বর্ণনা করতে গিয়ে মন্ত্রী বলেন, করোনা পরিস্থিতির কারণে দেশের কারাগারগুলোর ধারণ ক্ষমতার চেয়ে ৪০-৫০ হাজার আসামী কারাগারে ছিল। এই সমস্যার কারণে আদালতে জন্য তথ্য প্রযুক্তির অধ্যাদেশ জারি করা হয়। এই অধ্যাদেশের কারণে সারাদেশে ৫০ হাজার কারাবন্দিকে মুক্তি দেয়া সম্ভব হয়েছে। তবে, তথ্য প্রযুক্তির সুযোগ ব্যবহারের মাধ্যমে জামিন নিষেধাজ্ঞা ছাড়া আর কোন কিছুই সম্ভব নয়। এর বাহিরে কোন কিছু করতে হলে আমাদেরকে ফৌজদারী, দেওয়ানী, সাক্ষ্য আইন সহ অনেক আইনকে সংশোধন করতে হবে। সেখানে আমরা এখন যাব না কারণ এটি সংশোধন করতে হলে সবার সাথে আমাদের আলোচনা করতে হবে।
আমরা যখন বুঝেছি করোনা ভাইরাসের সাথে আমাদের দীর্ঘদিন চলতে হবে সেজন্য পর্যায়ক্রমে আমরা আদালত খুলে দেয়ার চেষ্টা করছি।
জুনিয়র আইনজীবীদের একটু ধৈর্য্য ধরতে হবে উল্লেখ করে আইনমন্ত্রী বলেন চলমান এই ক্রান্তিকালে জুনিয়র আইনজীবীদের ঋণ দেয়া যায় কি না আমরা সেই চেষ্টায় আছি। সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মোঃ ফজলুল হক সেলিমের প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে মন্ত্রী সমিতির ঝুঁকিপূর্ণ ২ নং হল নতুন করে নির্মাণের আশ^াস দেন।
ভার্চুয়াল আলোচনায় বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের ডি অঞ্চলের সদস্য এডভোকেট এ.এফ.এম. রুহুল আনাম চৌধুরী মিন্টু, সিলেটের সরকারি কৌশুলী এডভোকেট মোঃ রাজ উদ্দিন, সিলেটের পাবলিক প্রসিকিউটর মোঃ নিজাম উদ্দিন, মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর এডভোকেট নওশাদ আহমদ চৌধুরী, জেলা বারের সাবেক সভাপতি এডভোকেট এ.কে.এম. শমিউল আলম, সাবেক সভাপতি এডভোকেট মোহাম্মদ লালা, সাবেক সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট শাহ আশরাফুল ইসলাম (আশরাফ), সাবেক সাধারণ সম্পাদাক এডভোকেট মোঃ আব্দুল কুদ্দুছ, সমিতির যুগ্ম সম্পাদক-১ এডভোকেট মোঃ হুমায়ুন রশীদ সুয়েব, যুগ্ম সম্পাদক-২ এডভোকেট মাসুদুর রহমান খান (মুননা), সমাজ বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট মোহাম্মদ মোমিনুল ইসলাম মোমিন, কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য এডভোকেট এ.এস.এম. আব্দুল গফুর, মহানগর দায়রা জজ আদালতের অতিঃ পাবলিক প্রসিকিউটর এডভোকেট মোঃ ময়নুল ইসলাম, এডভোকেট সৈয়দ কাওছার আহমদ, এডভোকেট দেবব্রত চৌধুরী লিটন।
এছাড়াও ভার্চুয়াল আলোচনায় যুক্ত ছিলেন সমিতির সাবেক সভাপতি এডভোকেট এমাদ উল্লাহ শহিদুল ইসলাম, এডভোকেট সিরাজুল হক শেরদিল, সহ-সম্পাদক এডভোকেট মোঃ মিজানুর রহমান ও মোঃ রেদওয়ানুল ইসলাম, মোঃ নুরুল আমিন, সফিকুল ইসলাম সবুজ, আবজল মিয়া তালুকদার, সুয়েব আহমদ, মোঃ আজিজুর রহমান, সাওম খান সায়েম, রকিব আলী খান, ঝুন্টু কুমার চন্দ প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি