কানাইঘাট থেকে সংবাদদাতা :
গত ১ জুলাই গভীর রাতে কানাইঘাট উপজেলার দক্ষিণ বাণীগ্রাম ইউনিয়নের ব্রাহ্মণগ্রামের গৃহবধূ গণধর্ষণের মূলহুতা আজাদুর রহমানকে গ্রেফতার করেছে কানাইঘাট থানা পুলিশ। প্রযুক্তির ব্যবহার ও নানা কৌশল গ্রহণ করে গৃহবধূ গণধর্ষণকারী একই গ্রামের নুর উদ্দিনের পুত্র আজাদুর রহমান (২৬)কে রবিবার ভোর ৫টায় গোয়াইনঘাট উপজেলার রাধানগর গ্রাম থেকে গোয়াইনঘাট থানা পুলিশের সহায়তায় কানাইঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ শামসুদ্দোহা পিপিএম, ওসি (তদন্ত) আনোয়ার জাহিদের নেতৃত্বে একদল পুলিশ সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। গৃহবধূ গণধর্ষণের মূলহুতা আজাদুর রহমানকে থানা হাজতে রাখা হয়েছে। পাশাপাশি ভিকটিম ও তার স্বামী হারুন রশিদকে থানায় এনে ঘটনার তথ্য সংগ্রহ করে পুলিশ।
এদিকে গৃহবধূ গণধর্ষণের মূলহুতা আজাদকে থানা পুলিশ গ্রেফতার করায় এলাকায় সর্বস্তরের লোকজন সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তারা থানা পুলিশকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। জানা যায়, গত ১ জুলাই রাত ১টার দিকে প্রচন্ড বৃষ্টির সময় ব্রাহ্মণগ্রামের বাসিন্দা স্থানীয় গাছবাড়ী বাজারের মোদী ব্যবসায়ী দরিদ্র হারুন রশিদের কাঁচা বসত ঘরের পিছনের বেড়া কেটে তার স্ত্রী ১ সন্তানের জননীকে অস্ত্রের মুখে ভয় দেখিয়ে চোখ বেঁধে গণধর্ষণ করা হয়। ধর্ষণের মূলহুতা আজাদের পরিবারের এ ঘটনায় বিচারপ্রার্থী হয়েও কোন ধরনের বিচার পাননি পাশবিকতার স্বীকার গৃহবধূর দরিদ্র স্বামী। উল্টো তাদের নানাভাবে ভয়ভীতি দেখোনোর কারণে ভিকটিমের স্বামী এলাকা থেকে লাপাত্তা হয়ে যান। ভয়ে থানা পুলিশেল শরণাপন্ন হননি হারুন রশিদ। সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজের ওসিসি’তে ধর্ষিতাকে ভর্তি করা হলে ধর্ষণের ঘটনা নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদও প্রকাশ হলে পুলিশ জড়িতদের গ্রেফতার করতে মাঠে নামে। সিলেটের পুলিশ সুপার ফরিদ উদ্দিন পিপিএম’র নির্দেশনায় ধর্ষণকারী আজাদ ও সহযোগীদের গ্রেফতার করতে ওসি শামসুদ্দোহা পিপিএম প্রযুক্তির ব্যবহার সহ বিভিন্ন কলাকৌশল গ্রহণ করে আজাদুর রহমানকে গোয়াইনঘাট থেকে রবিবার সকালে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় পুলিশ।
থানার ওসি শামসুদ্দোহা পিপিএম জানিয়েছেন, গৃহবধূর ধর্ষণকারী আজাদুর রহমানকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ ঘটনায় ওসিসি বিভাগের প্রাপ্ত অভিযোগের আলোকে ভিকটিম বাদী হয়ে গ্রেফতারকৃত আজাদুর রহমান ও তার সহযোগী একই গ্রামের আতাউর রহমানের মোক্তার হোসেন (৩০) কে আসামী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধনী/০৩) এর ৯(৩) তৎসহ ৩৯২ ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। থানার মামলা নং- ০১, তারিখ-০৫-০৭-২০ এবং গৃহবধূর ধর্ষণের ঘটনাটি আরো গভীর ভাবে তদন্ত করা হবে।
ভিকটিমের স্বামী হারুন রশিদ তার স্ত্রীর উপর পাশবিক নির্যাতনকারীদের কঠিন শাস্তির দাবী জানিয়েছেন এবং আজাদকে গ্রেফতার করায় সন্তোষ প্রকাশ করেন।