ওয়ার্কার্স পার্টির ধারাবাহিক কর্মসূচি দক্ষিণ সুরমায় পালিত

8
স্বাস্থ্যখাতে অব্যবস্থাপনা ও দুর্নীতি, করোনা পরীক্ষার ফি বাতিল, করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট প্রদানে বিলম্ব, সাধারণ চিকিৎসা সেবায় অনিয়ম, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে শ্রমিক ছাঁটাই এবং রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল বন্ধের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও প্রতিবাদী সমাবেশে বক্তব্য রাখছেন পার্টি কেন্দ্রীয় সদস্য ও জেলার সভাপতি কমরেড সিকান্দার আলী।

স্বাস্থ্যখাতে অব্যবস্থাপনা ও দুর্নীতি, করোনা পরীক্ষার ফি বাতিল, করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট প্রদানে বিলম্ব, সাধারণ চিকিৎসা সেবায় অনিয়ম, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে শ্রমিক ছাঁটাই এবং রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল দ্রুত চালুর দাবিতে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির ধারাবাহিক কর্মসূচির অংশ হিসেবে পার্টির দক্ষিণ সুরমা উপজেলা কমিটির উদ্যোগ এক মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
শনিবার (৪ জুলাই) বেলা ২ টায় দক্ষিণ সুরমার চন্ডিপুল পয়েন্টে অনুষ্ঠিত সমাবেশে ওয়ার্কার্স পাটি দক্ষিণ সুরমা উপজেলার সভাপতি রুহুল আমীনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন রুমেলের পরিচালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পার্টি কেন্দ্রীয় সদস্য ও জেলার সভাপতি কমরেড সিকান্দার আলী।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পার্টি কেন্দ্রীয় সদস্য ও জেলার সাধারণ সম্পাদক ইন্দ্রাণী সেন সম্পা। বক্তব্য রাখেন পার্টির জেলার নেতা আলমগীর হোসেন, ছাত্র মৈত্রী কেন্দ্রীয় সদস্য ও সিলেট জেলার সাধারণ সম্পাদক মাসুদ রানা চৌধুরী, পার্টির দক্ষিণ সুরমার নেতা ডাঃ জাহাঙ্গীর আলম, মহিম উদ্দিন মহিম, জামাল আহমদ, আংগুর আলী, এনামুল হক এনাম প্রমুখ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন- কোভিড ১৯ করোনা বিশ্বব্যাপি এক মহামারী, মহাদুর্যোগের নাম। অতীতে অর্থ মন্দার ফলে দুর্ভিক্ষ, বন্যা, খরাসহ নানান প্রাকৃতিক দুর্যোগের প্রাণ নাশ, জীবনযাত্রায় লাগবহীন ক্ষতি হলেও মরণঘাতি এমন ভাইরাসের সংক্রমণের ফলে বিশ্বব্যাপি লাখ লাখ মানুষ আক্রান্ত ও প্রতিদিনের মৃত্যুর মিছিল এবারই প্রথম বিশ্ববাসি প্রত্যক্ষ করেছে। জাতীর এই ক্রান্তিলগ্নে সরকারের কিছু দুর্নীতিবাজদের কারণে সরকার তথা রাষ্ট্রের মান ক্ষুণ্ন হচ্ছে। আজ দেখা গেছে স্বাস্থ্যের দিকে তাকালে বেহাল অব্যবস্থাপনা ও দুর্নীতি। শুধু স্বাস্থ্যখাতে নয়, প্রতিটি সেক্টরে এমন অরাজকতা।
আমরা অতীতে দেখেছি বিমানে ক্ষতি হয়েছে কিন্তু যখন আমাদের পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন মন্ত্রী হন তখন আর ক্ষতি দেখা যায়নি বরং লাভ হয়েছে। আজ রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলের একই অরাজকতা ও দুর্নীতি কারণে সরকার বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কিন্তু আমরা (ওয়ার্কার্স পার্টি) শ্রমিক শ্রেণির পার্টি বলে শ্রমিকের পক্ষে রাজপথে প্রথম নেমেছি এবং সেই খবর যখন সরকারের কাছে যায় তখন প্রধানমন্ত্রী এদিকে নজরে নিলে বললেন আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে শ্রমিকদের বকেয়া বেতনসহ পাটকল পুনরায় চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সিলেট জেলা কমিটি পক্ষ থেকে স্বাগতম ও ধন্যবাদ জানানো হয়।
বক্তারা আরো বলেন সরকারের দুর্নীতির ফলে মন্ত্রী, আমলা, ডাক্তার, পুলিশ থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ প্রায় বিনা চিকিৎসায় মৃত্যু বরণ করছেন। সুষ্ঠু স্বাস্থ ব্যবস্থাপনা না থাকায় সাধারণ রোগীরাও নানান হাসপাতালে ধর্না দিচ্ছে কিন্তু চিকিৎসা সেবা না পেয়ে মৃত্যুবরণ করছে। অথচ ঢাকা মেডিকেল কলেজের ডাক্তাররা একমাসের সকালের নাস্তা ২০ কোটি টাকা খরচের তালিকা কিন্তু দেখা গেছে এই ২০ কোটি টাকা দিয়ে অজস্র পরিবারের বছরের খাবার সংগ্রহ করা যেত। কাজেই সরকারের দুর্নীতির বিরুদ্ধে ততদিন ওয়ার্কার্স পার্টি মাঠে থাকতে যতদিন না পর্যন্ত জিরো ট্রলারেন্স আসবে। অন্যানের মধ্য উপস্থিত ছিলেন জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশন, গার্হস্থ্য নারী শ্রমিক ইউনিয়ন ও কৃষক সমিতির নেতৃবৃন্দ। বিজ্ঞপ্তি