দুর্নীতি মুক্তকরণ বাংলাদেশ ফোরামের কেন্দ্রীয় সভাপতি, সিনিয়র আইনজীবী নাছির উদ্দীন এডভোকেট ও সাধারণ সম্পাদক মকসুদ হোসেন এবং দক্ষিণ সুরমা উপজেলা শাখার সভাপতি আব্দুল ওয়াহিদ ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সালাম সোহেল এক বিবৃতিতে পরিবহন শ্রমিক কল্যাণের অর্থ আত্মসাতকারীদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, গত ২ জুন মঙ্গলবার সিলেট নগরীর কদতমলী কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল ও লালমনিরহাট জেলার বাস টার্মিানলে পরিবহন শ্রমিকদের কল্যাণ তহবিলের টাকা শ্রমিক নেতানামদারিদের আত্মসাৎ ও মজলুম শ্রমিকদের আর্তনাতের খবরে গভীর উদ্বোগ-উৎকণ্ঠা ও তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করে বলেন, কঠোর পরিশ্রম করে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে সাধারণ পরিবহন শ্রমিকগণ চাঁদা দিয়ে শ্রমিক কল্যাণ তহবিলে টাকা জমা করেছে। করোনা ভাইরাস পরিস্থিতির কারণে আয়-রোজগার বন্ধ থাকা পরিবহন শ্রমিকরা সেই তহবিল থেকে সাহায্য-সহযোগিতা পাবেন এটাই স্বাভাবিক। অথচ যাদের কল্যাণের নামে এসব চাঁদা তোলা হয়, তারা এখন কঠিন দিন অতিবাহিত করছে। গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে জানা যায়, কদমতলী বাস টার্মিনাল ও লালমনির হাটে শ্রমিকদের অসন্তুষ এরই বহিঃপ্রকাশ।
বিবৃতিতে বলা হয়, একশ্রেনির শ্রমিক নেতা চাঁদাবাজী ও সাধারণ শ্রমিকদের অর্থ আত্মসাৎ করে বিত্তবৈভব গড়ে তুলেছে। তাদের আশ্রয় ও প্রশ্রয়দাতা এক শ্রেণির দুর্নীতিবাজ রাজনৈতিক ও পুলিশ-প্রশাসনিক কর্মকর্তা। শ্রমিকদের কাছ থেকে তোলা টাকা মালিকদের নিয়ন্ত্রণে যাওয়ার বিষয়টিও দুর্ভাগ্যজনক।
শ্রমিকদের চাঁদার অর্থ কীভাবে হরিলুট হয়েছে, তা তদন্ত করে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার পাশাপাশি সরকারি-বেসরকারি তহবিলে থাকা অর্থ শ্রমিক কল্যাণে ব্যয়ের দ্রুত উদ্যোগ নিতে হবে। অন্যথায় আরো বড় বড় ঘটনা ঘটতে থাকলে কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবে। বিজ্ঞপ্তি