কানাইঘাট থেকে সংবাদদাতা :
কানাইঘাট সীমান্তবর্তী লোভাছড়া পাথর মহালের ইজারার মেয়াদ শেষ হওয়ায় সব ধরণের পাথর উত্তোলন, অপসারণ/পরিবহনে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে জ¦ালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ, খনিজ সম্পদ উন্নয়ন ব্যুরো (বিএমডি)। জ¦ালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ ও খনিজ সম্পদ উন্নয়ন ব্যুরোর মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মোঃ জাফর উল্লাহ গত ২৮/০৫/২০২০ইং তারিখে স্বাক্ষরিত পরিপত্রে এ আদেশ জারি করেন এবং কোয়ারির ইজারাদার মস্তাক আহমদ পলাশের নিকট পত্রটি পাঠানো হয়। এ সংক্রান্তের আদেশের কপি সদয় অবগতি ও কার্যার্থে সিনিয়র সচিব জ¦ালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ, সচিব ভূমি মন্ত্রণালয়, মহাপরিচালক পরিবেশ অধিদপ্তর, ঢাকা, সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক, কানাইঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট প্রেরণ করা হয়েছে।
স্মারকের আদেশে অতিরিক্ত সচিব জাফর উল্লাহ উল্লেখ করেছেন, সিলেট জেলার কানাইঘাট উপজেলাধীন গেজেটভুক্ত ‘লোভাছড়া পাথর কোয়ারী’ হতে ১৪২৫-১৪২৬ বাংলা সন মেয়াদে পাথর উত্তোলন ও অপসারণের নিমিত্ত তার অনুকূলে কোয়ারি ইজারা প্রদান করা হয়েছিল। ইজারা চুক্তির শর্তানুযায়ী বর্ণিত পাথর কোয়ারি ইজারার মেয়াদ ৩০ চৈত্র, ১৪২৬/ ১৩-০৪-২০২০তারিখে উত্তীর্ণ হয়েছে। ইজারা চুক্তির মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পর থেকে লোভাছড়া পাথর কোয়ারি হতে পাথর উত্তোলন ও অপসারণ/পরিবহন সহ কোনো কোয়ারি কার্যক্রম পরিচালনার আর কোনো সুযোগ নেই। সেপ্রেক্ষিতে বর্ণিত পাথর কোয়ারি হতে পাথর উত্তোলন ও অপসারণ সম্পূর্ণরূপে বন্ধ রাখার জন্য অনুরোধ করা হলো। অন্যথায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
প্রসজ্ঞত যে, লোভাছড়া পাথর কোয়ারীর ইজারার মেয়াদ গত ১৩ এপ্রিল শেষ হয়েছে। যার কারনে কোয়ারি থেকে সব ধরনের পাথর উত্তোলন, পরিবহন ও বিপণন বন্ধ রাখার জন্য ইতিমধ্যে সিলেট জেলা প্রশাসক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বারিউল করিম খানকে নির্দেশ দিয়েছেন। বর্তমানে পাথর কোয়ারীতে কয়েক শত কোটি টাকার পাথর মজুদ রয়েছে।