দর্শকবিহীন মাঠে খেলার অনুভূতি অদ্ভুত – মেসি

9

স্পোর্টস ডেস্ক :
স্প্যানিশ সরকার ৮ জুন থেকে লিগ শুরুর সবুজ সংকেত দিয়েছে। তবে লা লিগা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে তারা ১১ জুন সেভিয়া-বেটিস ডার্বি দিয়ে লিগ শুরুর কথা ভাবছে। লিওনেল মেসির পায়ে আবার ফুটবল দেখার জন্য অনেকেই হয়তো ব্যাকুল হয়ে আছেন। সেই আশাও সব ঠিক থাকলে পূরণ হবে, তবে এবার আর মেসির গোলে চিৎকার হবে না ন্যু ক্যাম্পে। দর্শকই যে থাকবে না কোনো। ব্যাপারটা মেনে নিয়েছেন মেসিও,তবে বলেছেন দর্শকবিহীন স্টেডিয়ামে খেলা হবে অদ্ভুত একটা অনুভূতি।
লকডাউনের মধ্যে মেসি অবশ্য বেকার বসে নেই বেশ কিছুদিন। শুরুতে বাসায় থাকলেও ফিটনেস অনুশীলনের মাধ্যমে ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’ করেছেন। আর এই মাস থেকে তো বার্সার অনুশীলনই শুরু হয়ে গেছে। এখন ১৪ জনের দলে অনুশীলন করছেন মেসিরা, ধীরে ধীরে নিজেদের ফিটনেসও ফিরে পাচ্ছেন। তবে এই মৌসুম তো বটেই, হয়তো এই বছরেই ফাঁকা স্টেডিয়ামে খেলতে হবে মেসিদের।
স্পন্সর অ্যাডিডাসের জন্য লেখা একটা কলামে এই ব্যাপারটা বেশি ছুঁয়ে যাচ্ছে মেসিকে, ‘এই মৌসুমটা ফাঁকা মাঠে হবে, যেটা আসলে বড় চ্যালেঞ্জ। দল হিসেবে প্রস্তুতি হবে আর দশটা ম্যাচের মতোই। কিন্তু ব্যক্তিগতভাবে আমাদের প্রস্তুতি নিতে হবে ভক্তদের ছাড়া খেলার জন্য। যেটা আসলে একটু অদ্ভুত। যে কোনো খেলোয়াড়ের জন্য মাঠে গিয়ে এই অবস্থায় মনযোগ ধরে রাখা গুরুত্বপূর্ণ। অনেকেই বলে খেলার মধ্যে মানসিক দক্ষতার পরিমাণ ৪০, ৫০ এমনকি ৬০ ভাগ। এটা প্রতিটা খেলোয়াড়ের ওপর নির্ভর করে। আমিও মনে করি এই ব্যাপারটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। এবং পেশাদার হিসেবে আমাদের আরও বেশি করে এটা নিয়ে চর্চা করা উচিত।’
অবশ্য মেসিরা আগেও ফাঁকা গ্যালারিতে খেলেছেন। বার্সেলোনার অস্থিরতার সময় ন্যু ক্যাম্পে কোনো দর্শক ছাড়া খেলেছিলেন সবাই। সেই অভিজ্ঞতা মাথায় রেখেই এবারেরটা মেনে নিচ্ছেন মেসি, ‘হ্যাঁ, আগেও একবার এই অদ্ভুত অভিজ্ঞতার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছিল আমাদের। তবে এবার এত কিছুর পর আমাদের স্বাভাবিকভাবেই এরকম কিছুর মধ্য দিয়ে যেতে হবে। আমরা যখন আবার খেলা শুরু করব, অনেক কিছুই নতুন করে শুরু হবে। আগে যাদের চোটের জন্য হারিয়ে ফেলেছিলাম তাদের অনেককে ফিরে পাচ্ছি। টেকনিক্যালি আমরা আগের মৌসুমটাই খেলব, কিন্তু সবার জন্য এটা হবে পুরোপুরি নতুন একটা শুরু।’ লিগ বন্ধ হওয়ার আগে রিয়াল মাদ্রিদের চেয়ে দুই পয়েন্ট এগিয়ে ছিল বার্সা। আবার শুরু হলে প্রথম ম্যাচটা মেসিরা খেলবেন মায়োর্কার বিপক্ষে।
এই বছর কোপা আমেরিকায়ও খেলার কথা ছিল মেসিদের, করোনা ভাইরাসের কারণে সেটিও পিছিয়ে গেছে সামনের বছর পর্যন্ত। মেসি এই ব্যাপারটাও মেনে নিচ্ছেন, ‘কোপা স্থগিত হয়ে যাওয়া অবশ্যই বড় একটা হতাশার ব্যাপার। আমি এই টুর্নামেন্টের দিকে তাকিয়ে ছিলাম এবার। তবে যে কারণে স্থগিত হয়ে গেছে, সেটা একদমই যুক্তিযুক্ত।’