কানাইঘাট থেকে সংবাদদাতা :
কানাইঘাট দীঘিরপার পূর্ব ইউপির মাছুগ্রামে শুক্রবার সকালে ১২ বছরের ৪র্থ শ্রেণীর এক শিশুকে বখাটে কর্তৃক জোরপূর্বক ভাবে ধর্ষণ চেষ্টার বিচার চাইতে গিয়ে উল্টো বখাটের পরিবারের লোকজনের হামলায় ৭ জন আহতের খবর পাওয়া গেছে। আহতদের মধ্যে গুরুতর অবস্থায় অলিউর রহমান (৫৫) ও এবাদুর রহমান (৫২) কে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যান্য আহতরা হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। এ ঘটনায় ধর্ষণের চেষ্টার শিকার মেয়েটির বাবা বাদী হয়ে গতকাল কানাইঘাট থানায় ১০ জনকে আসামী করে অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগে জানা যায়, মাছুগ্রামের দরিদ্র ছায়াদুর রহমানের মেয়ে ৪র্থ শ্রেণী ঐ শিশু শিক্ষার্থী গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে মাছুগ্রাম ব্রীজের পাশে তার ট্রলি চালক বড় ভাইকে একটি টর্চ লাইট দিয়ে বাড়ী ফেরার পথে একই গ্রামের মঞ্জুর আলীর পুত্র এলাকার চিহ্নিত বখাটে আতিকুর রহমান (২৫) মেয়েটির মুখ ও গলা চেপে ধরে পাশর্^বর্তী একটি খালের পাড়ে নিয়ে যায়। সেখানে জোরপূর্বক ভাবে ধর্ষণের চেষ্টায় লিপ্ত হলে মেয়েটির আর্তচিৎকারে তার ভাই সহ আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে মেয়েটিকে উদ্ধার করেন। এ সময় ধর্ষণের চেষ্টাকারী আতিকুর রহমান পালিয়ে যায়। এ ঘটনাটির পর গতকাল শুক্রবার সকালে মেয়েটির বাবা ছায়াদুর রহমান ও তার স্বজনরা ধর্ষণের চেষ্টাকারী আতিকুর রহমানের পরিবারের কাছে বিচার প্রার্থী হলে এতে ক্ষিপ্ত হয়ে বখাটে আতিকুর রহমান ও তার পিতা মঞ্জুর আলী সহ পরিবারের লোকজন দেশীয় ধারালো দা, কিরিস ও লাঠি সোটা নিয়ে মেয়েটির আত্মীয়-স্বজনদের উপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে মধ্যস্থতা কারী সহ ৭ জনকে আহত করে। স্থানীয় এলাকাবাসী এ ঘটনার জন্য বখাটে আতিকুর রহমান ও তার পরিবারের লোকজনদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবী জানিয়েছেন। অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা থানার এসআই রাজিব মন্ডল জানিয়েছেন, তদন্তপূর্বক ঘটনার সত্যতা পেলে আসামীদের বিরুদ্ধে আইনআনুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।