গোলাপগঞ্জে লেচু খাওয়াকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে আওয়ামীলীগ নেতাসহ আহত ১২ জন

11

গোলাপগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
গোলাপগঞ্জে লেচু খাওয়াকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের সংঘর্ষে আহত হয়েছে অন্তত ১২ জন। গুরুতর আহত আমুড়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি বদরুল হকসহ ৪ জনকে সিলট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বুধবার দুপুর ১২ টার দিকে উপজেলার পশ্চিম আমুড়া ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের ১নং শিলঘাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সম্মুখে এ ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে আহতরা হলেন- বদরুল হক (৬৫), আবুল লেইছ (৫৫), কিবরিয়া আহমদ (১৯), নাইম আহমদ (১৮), কামরান হোসেন (৪০), তুহিন আহমদ (৩৬), খাইরুল হক (৬০), মারজান আহমদ (১৭), ইমন আহমদ (১৮), মখন আলী (৬৫), সোহেল আহমদ(২৭), শাহান আহমদ (৩৭)।
জানা যায়, লেচু খাওয়াকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। খবর পেয়ে আমুড়া ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি বদরুল হকসহ কয়েক জন বিষয়টি মীমাংসা করতে ঘটনাস্থলে যান। এ সময় এক পক্ষ বদরুল হকসহ অপর পক্ষের উপর হামলা চালায়। এতে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের শুরু হয়। সংঘর্ষে বদরুল হকসহ ৪জন গুরুতর আহতসহ ১২জন আহত হন। গুরুতর আহত বদরুল হক, খাইরুল হক, কিবরিয়া আহমদ ও নাইম আহমদকে সিলেট ওসমানি মেডিকেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। অন্যরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে হাসপাতালসহ স্থানীয় ভাবে চিকিৎসা নিয়েছেন। এদিকে সংঘর্ষের খবর পেয়ে গোলাপগঞ্জ মডেল থানার এস আই আবুল কাশেমের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
আমুড়া ইউনিয়নের ৭নং শিলঘাট ইউপি সদস্য তারেক আহমদ ও স্থানীয়রা বলেন, ছোটদের মধ্যে লেচু খাওয়াকে কেন্দ্র করে একটি সমস্যা হয়েছিল তা সমাধান করার জন্য আমুড়া ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান বদরুল হক সহ কয়েকজন গেলে তাদের উপর ও হামলা করা হয়। ঘটনার পরপরই তারা পুলিশকে খবর দেন।
গোলাপগঞ্জ মডেল থানার এস আই আবুল কাশেম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন জানিয়ে বলেন, আহত এক পক্ষকে দেখে এসেছেন এবং অপরপক্ষের কাউকে পাওয়া যায়নি।
গোলাপগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মিজানুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনার পর এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে এলাকার পরিবেশ শান্ত রয়েছে। এখন পর্যন্ত কোনো পক্ষই থানায় অভিযোগ করেনি। তবে আমরা তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেব।