অনলাইন ব্রিফিংয়ে র‌্যাব প্রধান ॥ দেশে কারফিউ দেয়ার মতো অবস্থা হয়নি

32

কাজিরবাজার ডেস্ক :
দেশে প্রতিদিন করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। সেই সঙ্গে বাড়ছে মৃত্যু। এই পরিস্থিতিতেও সাধারণ মানুষ রাজধানী ছাড়ছে। এটি ঠেকাতে কারফিউ দেওয়ার সম্ভাবনা আছে কিনা সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) মহাপরিচালক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেছেন, ‘তেমন অবস্থার সৃষ্টি হয়নি। যেখানে যেমন প্রয়োজন সেখানে সেভাবে করা হচ্ছে। যেমন- মাদারিপুরে করোনা বেড়েছিল, তখন আমরা বিশেষ ব্যবস্থা নিয়ে সেটা নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। তাই এখনও কারফিউ দেওয়ার মতো পরিস্থিতি হয়নি।’
শুক্রবার বেলা ১১টায় পবিত্র ঈদুল ফিতরের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে অনলাইন বিফ্রিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।
চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘সড়ক-মহাসড়কে ব্যক্তিগত গাড়ি চলাচল করতে দেওয়া হচ্ছে না। যারা নিজস্ব গাড়ি নিয়ে ঢাকা ছাড়ছেন অবশ্যই স্বাস্থ্যবিধি মেনে। তাই এখনই কারফিউ দেওয়ার মতো অবস্থা হয়নি।’
ঈদের জামাত ঘিরে কী ধরণের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে জানতে চাইলে র‌্যাব প্রধান বলেন, ‘সাদা পোশাকে আমাদের সদস্যরা নজরদারি করছে। কেউ উস্কানি বা নাশকতা ছড়িয়ে পরিস্থিতি খারাপ করার চেষ্টা করছে কিনা সেজন্য গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। ঈদ উপলক্ষে নিরাপত্তায় চেকপোস্ট বাড়ানোর পাশাপাশি পর্যাপ্ত রিজার্ভ ফোর্স, কমান্ড বাহিনী, হেলিকপ্টারসহ বিভিন্ন প্রস্তুতি নিয়ে রাখা হয়েছে।’
এর আগে বাহিনীটির প্রধান জানান, দুযোর্গকালীন সময়ে ৩১ জন ধর্ষণকারীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। এছাড়া ৪৭ জনকে জঙ্গি সংশ্লিষ্টতায় গ্রেফতার হয়েছে। ১২৭টি অবৈধ অস্ত্র ছাড়াও ৩১৪১ রাউন্ড গুলি এবং ১৪৮৫ জনকে মাদককাবারির সঙ্গে জড়িত অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাছাড়া নয় লাখ ৮২ হাজার ৫৫ কোটি পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে। অনেকে জরুরি পণ্য পরিবহনের আড়ালে মাদকের চালান আনা নেওয়া করছে। তারা সকলেই র‌্যাবের নজরদারিতে রয়েছে।’
র‌্যাব প্রধান করোনা পরিস্থিতিতে সম্মুখযুদ্ধে থাকা চিকিৎসক, নার্স, সাংবাদিক ও আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যদের ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতি ঠেকাতে র‌্যাব জনসচেতনতামূলক বিভিন্ন কর্মকান্ড, মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে নকল মাস্কসহ বিভিন্ন চিকিৎসা সরঞ্জাম জব্দ করেছে। গুজব বন্ধে র‌্যাবের অভিযান অনেকে আইনের আওতায় এসেছে।’
কোন তথ্য যাচাই বাছাই ছাড়া শেয়ার বা কমেন্টস না করার অনুরোধ জানান এলিট ফোর্সটির প্রধান। বলেন, ‘অনেকে না বুঝে কমেন্টস বা শেয়ার করেন। এতে না বুঝে অনেকে অপরাধী হয়ে যান। এটা করবেন না। আর বুঝতে অসুবিধা হলে র‌্যাবের সাইবার ভেরিফিকেশন সেলের সাহায্য নিন।’
ত্রাণ বিতরণ অব্যাহত রেখেছেন জানিয়ে আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘র‌্যাবের পক্ষ থেকে প্রতিনিয়ত খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হচ্ছে। করোনা পরিস্থিতিতে সিরাজগঞ্জের ‘দুগ্ধ খামারি’ যখন বিপাদে তখন র‌্যাব খামারিদের কাছ থেকে এক লাখ লিটার দুধ কিনেছে। সেটা দিয়ে ঘি ও চিজ তৈরি করে আমাদের সদস্যদের মধ্যে কমমূল্যে দেওয়া হয়েছে।’