শিক্ষাখাতে জাতীয় বাজেটের ২৫ ভাগ বরাদ্দসহ ৫ দফা দাবিতে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে অর্থমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট সিলেট নগর শাখা। গতকাল ১০ মে সকাল সাড়ে ১১টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মুখে অনুষ্ঠিত সমাবেশ পরবর্তিতে স্মারকলিপি পেশ করা হয়। সংগঠন সিলেট নগর কমিটির সদস্য সুমিত কান্তি দাস পিনাকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন মোঃসাকিব রানা,মঞ্জুর রহমান রিপন,দোয়েল রায় প্রমুখ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, সমগ্র বিশ্বের ন্যায় করোনা সংক্রমণে বাংলাদেশও আক্রান্ত। বর্তমানে বাংলাদেশে করোনা সংক্রমণ ‘মাস ট্রান্সমিশন’ পর্যায়ে আছে। সম্প্রতি সময়ে আমরা প্রত্যক্ষ করছি যে, করোনার পরীক্ষার সংখ্যা যত বাড়ছে, ততই বেশি সংখ্যায় করোনা সংক্রমিত মানুষ শনাক্ত হচ্ছেন। ফলে এক ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যেতে হচ্ছে বাংলাদেশকে, বিশেষত শ্রমজীবী মানুষদেরকে। তাদের কাজ নেই, কোন সঞ্চয়ও নেই, ফলে ঘরে খাবারও নেই। বাংলাদেশের বেশির ভাগ শিক্ষার্থীরা মূলত এসেছেন এসব শ্রমজীবী, নিম্নবিত্ত পরিবার থেকে। করোনা প্রকোপে তাদের শিক্ষা জীবন আজ অনিশ্চিত। যেহেতু বেশির ভাগ শিক্ষার্থীর অভিভাবকদের রোজগার নেই তাই তাদের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। এর মধ্যে অনেকেই ঋণের জালে জড়িয়ে পড়েছেন। এ পরিস্থিতি কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের বেতন ফি দেয়া তাদের পক্ষে অসম্ভব। আবার শিক্ষার্থীদের বড় একটা অংশ আছেন যারা টিউশন করে নিজেদের লেখাপড়ার খরচ চালান এবং কেউ কেউ বাড়িতেও কিছু সহযোগিতা করে থাকেন। এখন করোনা কালীন সময়ে তারা টিউশন করতে পারছেন না। তাই অনেকেই দু’বেলা দু’মোঠো খেতে পর্যন্ত পারছেন না। তার উপর আবার বাসা ভাড়ার চাপ আছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে পর্যাপ্ত আবাসন ব্যবস্থা না থাকায় বাধ্য হয়েই ভাড়া মেসে থাকতে হয়। বর্তমানে মেস মালিকরা বাসা ভাড়ার জন্য চাপ দিচ্ছেন। এই সামগ্রিক অবস্থায় শিক্ষার্থীদের জীবন বিপন্ন। প্রতি বছরের মত আগামী জুন মাসে জাতীয় সংসদে ২০২০-২০২১ অর্থ বছরের বাজেট পেশ হবে। আমরা প্রত্যাশা করি শিক্ষাখাতে আগামী বাজেটের ২৫ ভাগ বরাদ্দ করা হবে। অমাদের অভিজ্ঞাতা বলে সরকার ক্রমাগত শিক্ষাখাতে বরাদ্দ কমিয়ে দিচ্ছে,আবার যাও বরাদ্দ করে সেখানে যুক্ত করা হয় তথ্য যোগাযোগ এবং প্রযুক্তি খাত। অতীতের ধারাবাহিকতায় এবারও যদি শিক্ষাখাতে ২৫ ভাগ বরাদ্দ দেয়া না হয় তবে ফলাফল হবে ভয়াবহ।”
দাবিসমূহ:
শিক্ষাখাতে জাতীয় বাজেটের ২৫ভাগ বরাদ্দ করতে হবে।
মেসভাড়া মওকুফে রাষ্ট্রীয় প্রজ্ঞাপন জারি কর।
চলতি শিক্ষাবষের্র ছাত্র বেতন ফি (বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সেমিষ্টার ফিসহ) বাতিল কর। অনলাইন ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ কর।
অস্বচ্ছল শিক্ষার্থীদের তালিকা তৈরি করে আর্থিক সহযোগিতা কর।
শিক্ষা-গবেষণায় বরাদ্দ দাও। বিজ্ঞপ্তি
